নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নিহত মো. মনির হোসেন মোল্লা
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর মাধবদীতে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে মাধবদীর নুরালাপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে বাড়িতে প্রবেশের গলিতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির স্বজনদের অভিযোগ, প্রতিবেশী চারজন মিলে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে মো. মনির হোসেন মোল্লাকে (৫০) হত্যা করেছেন।

নিহত মো. মনির হোসেন সদর উপজেলার মাধবদীর নুরালাপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মো. সিরাজ মোল্লার ছেলে। মাধবদীর সোনার বাংলা মার্কেটে প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসা করতেন তিনি।

হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন নিহত মনিরের প্রতিবেশী আজিজুল প্রধান, তাঁর ছেলে রাজ, দুই ভাতিজা সেলিম ও সানী। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক আছেন। স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের ওই গলি দিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করতে হয়। সম্প্রতি গলির মুখে যানবাহন চলাচল সীমিত করতে সিমেন্টের একটি খুঁটি বসানো হয়। মনির হোসেন সব সময় মোটরসাইকেলে চলাচল করেন। ওই খুঁটির কারণে মোটরসাইকেল বাড়িতে ঢোকাতে সমস্যা হতো। এ কারণে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুঁটিটি উঠিয়ে ফেলেন মনির। এ সময় প্রতিবেশী আজিজুল প্রধান, তাঁর ছেলে ও দুই ভাতিজার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে কাঠের খণ্ড দিয়ে মনিরকে পেটান। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন মনিরকে উদ্ধার করে মাধবদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেন। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মনিরের ছেলে মারুফ মোল্লা বলেন, ‘বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে আব্বাকে চারজন মিলে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি তাদের সরাতে গেলে আমাকেও পেটায় তারা।’

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিপাশা মাসুক বলেন, ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকীবুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।