অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, সরকারি হাসপাতালের বরখাস্ত ফার্মাসিস্টের বিরুদ্ধে মামলা

দুর্নীতি
প্রতীকী ছবি

খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ফার্মাসিস্ট সুধাংশু শেখর বাড়ই ও তাঁর স্ত্রী তুলসী রানী বাড়ইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আজ সোমবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনায় মামলাটি করেন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ।

দুদক খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এখনো মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি। সাধারণত যিনি মামলাটি দায়ের করেন, তিনিই পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। ওই মামলায় অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাঁকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দুদক কার্যালয়ে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে সুধাংশ শেখর ৭০ লাখ ৭২ হাজার টাকার সম্পদ প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু তদন্ত করে তাঁর নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলে ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। তিনি ১ কোটি ৫২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করেছেন। সুধাংশু শেখর অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ দিয়ে খুলনা নগরের বয়রা এলাকায় একটি তিনতলা ভবন ও স্ত্রী তুলসী রানীর নামে চারতলা ভবন নির্মাণ করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ পাচারের সময় ফার্মাসিস্ট দেবপ্রসাদ রায় ও তাঁর শ্যালক দীপঙ্কর সানাকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ঘুষ দিতে যাওয়ার অভিযোগে ঘুষের সাড়ে ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় নগরের খালিশপুর থানায় মামলা হয়।

তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ওই অভিযোগপত্রে ফার্মাসিস্ট গৌতম কুমার সরকার, দেবপ্রসাদ রায়, তাঁর শ্যালক দীপঙ্কর সানা, হাসপাতালের ফার্মাসি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অলোক কুমার মণ্ডল, ফার্মাসিস্ট সুধাংশু শেখর বাড়ই, নগরের হেরাজ মার্কেটের ওষুধ ব্যবসায়ী রকিবুল আবেদীন ও পুলিশকে ঘুষ দিতে যাওয়ায় দেবপ্রসাদ রায়ের স্ত্রী কল্যাণী রায়কে অভিযুক্ত করা হয়। ওই ঘটনার জেরে হাসপাতাল থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন সুধাংশু শেখর বাড়ই।