তাঁরা দিনে ট্রাকে মালামাল ওঠাতেন আর রাতে করতেন ডাকাতি

ফরিদপুরে বুধবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কাযালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

আন্তজেলা ডাকাত সদস্য সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তাঁদের প্রত্যেকের নামে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম জানান, গ্রেপ্তার লোকজন দিনে ট্রাকে মালামাল ওঠানো-নামানোর শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আর রাতে তাঁরা ডাকাতি করতেন।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এক প্রেস ব্রিফিং করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার হওয়া ছয় ব্যক্তি হলেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. কবির হোসেন (৪৩), জালাকান্দী গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩২), হৃদয় (৩৫) এবং শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার চরবয়রা গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম (২৭) ও চরনারায়ণপুর গ্রামের ফরহাদ হোসেন (৩২)। আরেকজন ফরিদপুর সদরের পরমানন্দপুর এলাকার আতিয়ার শেখ (৩৮)। ২৫ জুন রাতে নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর ও ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ১৪ জুন ফরিদপুর সদরের গোসাই ভাবুকদিয়া গ্রামে মায়ারানী সরকারের (৪০) বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই বাড়ি থেকে সাড়ে তিন ভরি ওজনের দুটি সোনার বালা, দুই জোড়া কানের দুল ও তিন জোড়া রিং, ৯ ভরি ওজনের সাত জোড়া রুপার নূপুর, কোমরের বিছা ও ১১টি রুপার আংটি, ৩টি মুঠোফোন ও নগদ ১১ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে মায়ারানী সরকার বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ডাকাতির দিন ওই ছয়জনসহ আরও কয়েকজন ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে একটি পিকআপ ভাড়া করেন। ওই পিকআপে করে তাঁরা এক্সপ্রেস সড়ক দিয়ে ফরিদপুরে এসে মায়ারানীর বাড়িতে ডাকাতি করে আবার একই পথে যাত্রাবাড়ী চলে যান। তবে এ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও পিকআপচালককে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আন্তজেলা ডাকাত দলের সঙ্গে আতিয়ার শেখ তথ্য দেওয়ার কাজ করেন। তাঁরা আসা-যাওয়ার সময় ট্রাকে এমনভাবে থাকতেন, যেন পুলিশ চেকপোস্টে আটকালে তাঁরা নিজেদের মালামাল নামানো-ওঠানোর শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক তুহিন লস্কর, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুল করিম প্রমুখ।