১১ বছর পর আগামীকাল নেত্রকোনায় বিএনপির সম্মেলন, শীর্ষ দুই পদে লড়ছেন পাঁচ প্রার্থী
নেত্রকোনায় ১১ বছর পর জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল শনিবার শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের জন্য পাঁচজন নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সম্মেলনে ১০টি উপজেলা ও পাঁচটি পৌর কমিটির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর শেষ দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আশরাফ উদ্দিন খান সভাপতি, আনোয়ারুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং এসএম মনিরুজ্জামান সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তী কমিটি অনুমোদন ও বিলুপ্তির পর ৬৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে দল চলে। দীর্ঘ ১১ বছর পর এবার পুনরায় সম্মেলন হচ্ছে।
সভাপতি পদে প্রার্থী জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক (ছাতা) ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক (চেয়ার)। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী কমিটির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম (মাছ), যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম মনিরুজ্জামান (বল) ও জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন খান (গরুর গাড়ি)।
সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল যুক্ত হবেন। উদ্বোধন করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সম্মেলন ও কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সহকারী নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে দুটি পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। মোক্তারপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলন সফল করতে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
দলীয় নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হচ্ছে। সভাপতি প্রার্থী আনোয়ারুল হক ও মাহফুজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা রফিকুল ইসলাম, এসএম মনিরুজ্জামান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন খান নিজেদের যোগ্যতা ও দলের জন্য অবদানের ওপর জোর দিয়ে ভোটারের সমর্থনের আশা প্রকাশ করেছেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে সম্মেলনের চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা গেছে।
সম্মেলন নিয়ে জেলা বিএনপির একজন যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। তাঁদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা সদরের মোড়ে মোড়ে সম্মেলন নিয়ে আলোচনা চলছে। সমঝোতা করে কমিটি করতে পারলে ভালো হতো। তবে যেহেতু সমঝোতা করা যায়নি, ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হচ্ছে। এ ধরনের গণতান্ত্রিক চর্চা থাকা ভালো।