আশুলিয়ায় দোকান থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ, দুই দিনেও সন্ধান মেলেনি
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে মেহেদী হাসান (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুই দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর সন্ধান না পেয়ে উৎকণ্ঠায় আছেন পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীর স্ত্রী মোরশেদা খাতুন। তবে অভিযোগটি এখনো মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি। মেহেদী হাসানের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পশ্চিম কলিয়া গ্রামে। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ার জামগড়া শিমুলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
লিখিত অভিযোগ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উত্তর গাজীরচট এলাকার মনির মণ্ডলের বাসার নিচতলায় নিয়ে মেহেদী হাসান আসবাবপত্রের শোরুম রয়েছে। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে একটি সাদা রঙের হাইয়েচ মাইক্রোবাস (গাজীপুর-চ-১১-০০১৯) নিয়ে ছয় থেকে সাতজন শোরুমের সামনে আসেন। এরপর পাঁচজন ভেতরে ঢুকে মেহেদীকে জোর করে তুলে নিয়ে যান।
পরের দিন নিজের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর থেকে মেহেদী তাঁর স্ত্রীকে জানান, অপহরণকারীরা তাঁকে আটক করে রেখেছে। এর পর থেকে স্বামীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন মোরশেদা খাতুন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুই দিন পেরিয়ে গেলেও স্বামীর কোনো সন্ধান পাননি। পরিবারের সবার উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটছে।
এদিকে শোরুমের সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পাঁচ যুবক শোরুমে ঢুকে প্রথমে এদিক-ওদিক দেখেন। কিছুক্ষণ পরেই মেহেদীকে তাঁরা জোর করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে আজ সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ বলেন, স্বামীকে অপহরণের একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন এক নারী। এখনো মামলা নথিভুক্ত হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মামলা না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই নূর মোহাম্মদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। মোমিনুল ইসলামের সরকারি মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ধরেননি। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামানের মুঠোফোনেও একাধিকবার কল করা হয়। তিনিও ধরেননি।