অস্ত্রধারীরা টাকা লুট করে ফাঁকা গুলি করে চলে যায় : থানচির ব্যাংক কর্মকর্তা

বান্দরবান জেলার মানচিত্র

বান্দরবানের রুমার পর থানচি উপজেলার দুটি ব্যাংক থেকে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিনদুপুরে ডাকাতি হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের দুই শাখায় এ ঘটনা ঘটেছে।

থানচি  থানা থেকে ব্যাংক দুটির দূরত্ব ২০০ গজ। উপজেলা পরিষদের দূরত্ব ৩০০ গজ। থানার কাছে দিনদুপুরে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় লোকজন হতভম্ব।

সোনালী ব্যাংক থানচি শাখার ব্যবস্থাপক ফয়সাল হুদা ফোনে আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্রধারী পাঁচ থেকে সাতজন লোক ব্যাংকে ঢোকে। ক্যাশিয়ারের সামনে পাওয়া সব টাকা তারা নিয়ে নেয়। আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা হতে পারে। ব্যাংকের বাইরে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন ছিল। পরে তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে চলে যায়।

আরও পড়ুন

সোনালী ব্যাংকের পাশে কৃষি ব্যাংক থানচি শাখা। এ শাখার ব্যবস্থাপক হ্লা শৈ থোয়াই আজ প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকে চার থেকে পাঁচজন অস্ত্রধারী ঢোকে ক্যাশিয়ারের সামনে থাকা আড়াই লাখ টাকা নিয়ে যায়। পরে তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে চলে যায়। এই ঘটনায় থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মহম্মদ আরমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যান। বের হওয়ার সময় দেখেন অস্ত্রধারী লোকজন ব্যাংকে ঢুকছে। তারা ক্যাশিয়ারের সামনে থেকে টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন

এদিকে আজ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে গত মঙ্গলবার টাকা লুটের ঘটনায় পরিদর্শনে আছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রশ্নের উত্তরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘থানচিতে দুটি ব্যাংকে হামলার ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আমরা সব সমন্বয় করে কাজ করছি।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে  বান্দরবানের রুমায় নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা ও ১৪টি অস্ত্র লুট করে। একই সঙ্গে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র গুলি লুট করে। অপহরণ করা হয় সোনালী ব্যাংক রুমা শাখা ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে। তাঁর খোঁজ এখনো মেলেনি।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন