রাজশাহীতে বর্ষবরণে সবার বন্ধন দৃঢ় হওয়ার প্রত্যাশা
রাজশাহী নগরের আলুপট্টি পদ্মারপাড় বটতলায় ‘নববর্ষ এল আবার আলোর আহ্বানে’ পঞ্চম সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর এ গানের মধ্য দিয়ে সকাল সোয়া সাতটায় বর্ষবরণের উৎসব শুরু হয়। এরপর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৃথক মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। রাজশাহী শিশু একাডেমি ও রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ষবরণের গান ও নাচের বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সবার মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
সকাল সোয়া সাতটায় আলুপট্টি পদ্মারপাড় বটতলায় প্রতিবছরের মতো সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে পঞ্চম সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ছাড়াও ভোর হলো, হিন্দোল সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
রাজশাহী আবৃত্তি পরিষদের শিল্পীরা আবৃত্তি ও শতদল নৃত্যগোষ্ঠীর শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। সকাল সোয়া নয়টা পর্যন্ত এ উৎসব চলে। এরপর নগরের আলুপট্টির মোড় থেকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এটি সোনাদিঘির মোড় ঘুরে আবার আলুপট্টির মোড়ে এসে শেষ হয়।
এদিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে জেলা শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ মূলমন্ত্রে সাজানো হয়েছিল পুরো অনুষ্ঠান। এতে শিশু একাডেমি ও রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীরা বর্ষবরণের গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। উৎসবে শিশু একাডেমির নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তি, উপস্থাপনা, চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা ও তবলায় নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) এ এন এম মঈনুল ইসলাম। বক্তব্য দেন অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রশিদুল হাসান, রাজশাহী পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, রাজশাহী রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহা. শাহজাহান মিয়া।
বক্তারা বলেন, সবার জন্য নতুন বছর শুভ ও মঙ্গলজনক হোক। সবার মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় হোক। অতীতের রোগ জরা ও সব অশুভ পেছনে থাকুক।
এর আগে নগরের বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিশু একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। বর্ষবরণ উপলক্ষে দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নববর্ষের ওপর কুইজ প্রতিযোগিতা ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।