ক্ষোভের আগুনে পুড়ল অবৈধভাবে পুকুর কাটার খননযন্ত্র

নাটোর সদর উপজেলার পাইকরদোল গ্রামে গতকাল বুধবার রাতে আগুনে খননযন্ত্র পুড়ে যায়ছবি: সংগৃহীত

নাটোরে অবৈধভাবে পুকুরকাটার কাজে ব্যবহৃত একটি খননযন্ত্র (একক্সাভেটর) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার পাইকেরদোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাইকেরদোল গ্রামে একরামুল ইসলামের জমিতে এক সপ্তাহ ধরে রাতের আঁধারে একক্সাভেটর দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছিল। ওই জমিতে পুকুর খনন করা হলে বিলে জলাবদ্ধতা হবে—এমন আশঙ্কা থেকে স্থানীয় লোকজন পুকুর খননে বাধা দেন। তারপরও রাতের আঁধারে পুকুর খনন অব্যাহত ছিল।

এই পরিস্থিতিতে গতকাল রাত ১১টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে লোকজন পাইকেরদোল গ্রামে একরামুল ইসলামের ওই জমিতে যান। তাঁরা পেট্রোল ঢেলে একক্সাভেটরে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ও নাটোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে যন্ত্রটি পুড়ে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ওই জমিতে পুকুর কাটা হলে বিলের অন্তত এক হাজার একর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। গ্রামের লোকজন পুকুর কাটার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু জমির মালিক কথা শোনেননি। তবে খননযন্ত্রে আগুন দেওয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

এ সম্পর্কে জমির মালিক একরামুল ইসলাম বলেন, দুর্বৃত্তরা আচমকা এসে আগুন দিয়েছে। যন্ত্রটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন তিনি। অবৈধভাবে পুকুর খননের বিষয়ে তিনি বলেন, পুকুর খননের জন্য তিনি কোনো অনুমতি নেননি। ওই জমিতে ফসল হয় না, পতিত পড়ে থাকে। এ জন্য সেখানে তিনি পুকুর খনন করছেন।

নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু রায়হান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর আগেই দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়। তাই কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধভাবে পুকুরকাটা হলে স্থানীয় প্রশাসন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।