রোগীর ওপর চাপ না বাড়িয়ে অবেদনবিদেরা দাবি আদায় চান

বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলোজি ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পেইন ফিজিশিয়ানস চট্টগ্রাম শাখার সভা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অ্যানেসথেসিয়া ও আইসিইউ বিভাগে অনুষ্ঠিত এই সভায় অবেদনবিদ চিকিৎসকেরা অংশ নেন। গতকাল সন্ধ্যায়ছবি সংগৃহীত

রোগীর ওপর চাপ না দিয়েই নিজেদের ফি বাড়াতে চান অস্ত্রোপচারের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী চিকিৎসক অবেদনবিদেরা। পাশাপাশি অস্ত্রোপচারের আগে নিজে রোগীর স্বাস্থ্য পরখ করার সুযোগ চেয়েছেন তাঁরা। এতে করে ব্যথাবিহীন অস্ত্রোপচারের সময় এবং অস্ত্রোপচার–পরবর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অবেদনবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলোজি ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পেইন ফিজিশিয়ানস (বিএসএ-সিসিপিপি) চট্টগ্রাম শাখার এক সভায় এসব কথা উঠে আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) অ্যানেসথেসিয়া ও আইসিইউ বিভাগে অনুষ্ঠিত এই সভায় চট্টগ্রামে কর্মরত শতাধিক অবেদনবিদ যোগ দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শরীফ।

সভায় সাধারণ সম্পাদক প্রণয় কুমার দত্ত, সহসভাপতি অলক নন্দী, চমেক অবেদনিবদ বিভাগের প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার নাথ, সংগঠনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রেজাউল হক, রাজদ্বীপ বিশ্বাস, সৈয়দা নাফিসা খাতুন, তারেকুল কাদের, সদস্য কল্যাণ কুমার বড়ুয়া, সত্যজিৎ ধর, মইনুল আলম, অঞ্জন বল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৫ মে অবেদনবিদ সমিতি বিভিন্ন অস্ত্রোপচারে তাদের ফি বাড়ানোর একটা আবেদন তুলে ধরেছে। এরপর তা নিয়ে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা চলছে। এটা নিয়ে সমিতির সঙ্গে আলোচনার জন্য সোসাইটি অব সার্জারি একটা কমিটি গঠন করেছে। তার আগে অবেদনবিদেরা গতকাল নিজেরা সভা করেন।

গতকাল সন্ধ্যায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই সভায় অবেদনবিদদের পেশাগত মর্যাদা বাড়ানো, রোগীর সুরক্ষা বৃদ্ধি, অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং নতুন করে ফি নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বর্ধিত ফি নিয়ে যাতে সম্পর্কে চিড় না ধরে, সে ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকার অনুরোধ করা হয়।

সভায় বিভিন্ন চিকিৎসক তথ্য তুলে ধরে বলেন, সার্জারির চিকিৎসকদের সঙ্গে অবেদনবিদদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। দুজনকে মিলেমিশে অস্ত্রোপচার করতে হয়। রোগীর খরচ নির্ধারণ করেন সার্জন। তাই অ্যানেসথেসিয়া ফি বাড়লেও খরচ যাতে না বাড়ে, তা নিয়ে আলোচনা হয়।

সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শরীফ সভায় বলেন, শল্যচিকিৎসায় অবেদনবিদ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মর্যাদা অক্ষুণ্ন না থাকলে ভবিষ্যতে এই বিষয়ে কেউ পড়বে না। আর্থসামাজিক অবস্থার আলোকে নতুন করে তাদের ফি বাড়ানোর বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। আশা করি সার্জনদের সঙ্গে কথা বলে তা করা সম্ভব হবে। এটা যাতে আবার রোগীর ওপর চাপ না বাড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন তিনি।