আলুর কেজি ৩৬ টাকা, দুই ঘণ্টায় বিক্রি শেষ

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইউএনও নাহিদ তামান্না। গতকাল বৃহস্পতিবার গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

বাজারে আলুর কেজি এখন সর্বোচ্চ ৭০ টাকা। এর প্রায় অর্ধেক দামে আলু বিক্রি করা হয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই দামে ১৭ হাজার ২২৫ কেজি আলু বিক্রি করা হয়েছে।

কম দামে আলু বিক্রির সময় গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না উপস্থিত ছিলেন। তবে এ আলু মাত্র দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেছে। এ কারণে অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েও আলু কিনতে পারেননি। এর আগে বুধবার সন্ধায় ওই আলু সরকারি নির্ধারিত দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে এলাকায় মাইকিং করা হয়।

গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে আলুর কেজি সর্বোচ্চ ৭০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, তাঁরা আড়ত থেকে আলু কেনেন প্রকারভেদে প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকায়। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না জানান, গত বুধবার তিনি গঙ্গাচড়া বাজার তদারকি করতে বের হন। এরপর আলুর আড়তেও যান তিনি। এ সময় পাইকারি ও খুচরা বাজারে আলুর দামের মধ্যে বেশ পার্থক্য দেখতে পান। ইউএনও খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের এ সময় সতর্ক করে দেন। পরে তিনি আলুর আড়ত থেকে গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলামকে দিয়ে ১৭ হাজার ২২৫ কেজি আলু ৩০ টাকা দরে ক্রয় করান। পরের দিন বৃহস্পতিবার সেই আলু প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্রি করা হয়।

ইউএনও নাহিদ তামান্না বলেন, ‘এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আমরা বাজার মনিটরিংয়ে গেলে তখন সবকিছুর দাম অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যায়। ফিরে আসামাত্রই দাম চলে যায় আগের অবস্থানে। আবার বেশি দামে ব্যবসায়ীরা বিক্রি শুরু করেন। এ কারণে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’