শ্রীপুরে দোকানে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ, পাশে রক্তমাখা বঁটি
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বাইরে থেকে তালাবদ্ধ একটি ওষুধের দোকানের ভেতরে পড়ে ছিল গৃহবধূর গলাকাটা লাশ। পাশেই পড়ে ছিল রক্তমাখা একটি বঁটি। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের একটি মার্কেটের দোকান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধার হওয়া গৃহবধূর নাম রেহেনা আক্তার (২৭)। তিনি ওই ওষুধের দোকানের মালিক মো. কিবরিয়ার স্ত্রী ও গোপালগঞ্জের ইদ্রিস আলীর মেয়ে। দোকানি কিবরিয়ার বাড়ি নড়াইলে। ওষুধের দোকানটি মুলাইদ গ্রামের মোস্তফা কামালের মালিকানাধীন একটি মার্কেটে অবস্থিত। লাশের খোঁজ পাওয়ার পর থেকে মো. কিবরিয়ার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
মার্কেটটির মালিক মোস্তফা কামাল বলেন, তাঁর ভাড়া দেওয়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন কিবরিয়া। তবে চার মাস আগে স্ত্রীকে তিনি গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এর পর থেকে কিবরিয়া দোকানের ভেতরেই থাকছিলেন।
মার্কেটের অন্য দোকানিরা বলেন, গতকাল কিবরিয়ার দোকানটি সারা দিন বন্ধ থাকে। তাঁর মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। সন্দেহ হলে মার্কেটের লোকজন তালাবদ্ধ শাটারের নিচ দিয়ে দেখতে পান দোকানের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় কেউ পড়ে আছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে তালা ভেঙে দোকানের ভেতর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। পাশেই টেবিলে রাখা ছিল রক্তমাখা একটি বঁটি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঁটি দিয়ে গলা কেটে ওই নারীকে হত্যা করেছেন তাঁর স্বামী কিবরিয়া। হত্যার পর লাশ দোকানের ভেতর ফেলে বাইরে থেকে শাটারের তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।