কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে তরুণকে পিটিয়ে হত্যা

গণপিটুনি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুলিয়ারচর পৌর শহরের বাজার এলাকার জামে মসজিদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত তরুণের নাম রাব্বি মিয়া (১৮)। তিনি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দীঘিরপাড় এলাকার মিরজালি মিয়ার ছেলে।

নিহত রাব্বির বড় ভাই আল আমিন বলেন, অন্তত পাঁচ বছর ধরে রাব্বি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে আসছিলেন। এর আগে রাব্বির বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ ছিল না। শুক্রবার সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে রাব্বি বের হয়েছিলেন। রাব্বি গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যাননি। তাঁকে ধরে উপজেলা ভূমি অফিসের পেছনে নিয়ে দীর্ঘসময় শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের গাইলকাটা এলাকার সারোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল রাখা ছিল জামে মসজিদ সড়কে। এ সময় রাব্বি মিয়া মোটরসাইকেলের কাছে আসেন এবং কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। তখন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী চোর সন্দেহে রাব্বিকে আটক করেন। পরে তাঁকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে রাব্বি অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জানানো হয়, হাসপাতালে আনার আগেই রাব্বির মৃত্যু হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে তরুণের মাথা ও সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

বক্তব্য জানার জন্য সারোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি। তবে সারোয়ারের ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, রাব্বিকে ধরে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়নি। মোটরসাইকেল চুরির সময় পথচারীরা তা দেখে ফেলে এবং তখন রাব্বি গণপিটুনির শিকার হন।

কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মুস্তফা বলেন, রাব্বির মৃত্যু হয়েছে শারীরিক নির্যাতনে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।