ধামরাই ও নওগাঁয় গ্রামীণ ব্যাংকের দুই শাখায় নাশকতার চেষ্টা
ঢাকার ধামরাই ও নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের দুটি শাখায় নাশকতার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার ভোরে ধামরাইয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের সুয়াপুর শাখা লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা হামলা করা হয়।
এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার রাতে রানীনগর উপজেলায় ব্যাংকটির কচুয়া বাজার শাখার সামনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে ওই দুই শাখায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের সুয়াপুর বাজার এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ব্যাংকটির অবস্থান। পেট্রলবোমাটি ভবনের দেয়ালে লেগে ভেঙে পাশের একটি টিনশেড কক্ষের চালার ওপরে পড়ে আগুন লেগে যায়। এতে ব্যাংকের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, পেট্রলবোমা পাশের একটি টিনশেড কক্ষের চালার ওপরে পড়ে আগুন ধরে যায়। পরে একজন নৈশপ্রহরী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন পানি ও বালু দিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
বাজারের নৈশপ্রহরী সেলিম মিয়া বলেন, ‘ভোরে ব্যাংকের সামনে আগুন দেইখা সবাইরে (আশপাশের লোকজন) ডাক দিছি। সবাই আইলে (এলে) আমরা আগুন নিভাইছি। পরে পুলিশ আইসা তদন্ত কইরা কাচের টুকরা পইড়া আছিল, ওগুলা নিয়া গেছে।’
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধামরাই থানা এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের ছয়টি শাখা রয়েছে, এর মধ্যে পাঁচটি ভাড়া বাসায়। সেগুলো নিরাপত্তায় স্থানীয় চৌকিদার রাখা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তদারকি রয়েছে।’
নওগাঁর রানীনগরে গ্রামীণ ব্যাংকের কচুয়া বাজার শাখা অফিসের সামনে গতকাল রাতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লোটাস হোসেনের বাসা ওই অফিসের পাশে। তিনি জানান, আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে ব্যাংকটির সামনে ধোঁয়া উঠতে দেখতে পান। আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে নৈশপ্রহরী তাঁকে জানান, রাতের কোনো এক সময় ব্যাংকের সামনের রাস্তায় আগুন জ্বলতে দেখেন তিনি। পরে সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
লোটাস হোসেন জানান, আগুন লাগার বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও পুলিশকে জানানো হয়। সকালে স্থানীয় থানা–পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে এ ঘটনায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডি করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তবে রানীনগর থানার ওসি আবদুল হাফিজ মো. রায়হানের দাবি, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে আগুনের ঘটনা ঘটেনি। খবর পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আগুন লাগার কোনো প্রমাণ পাইনি। তবে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার প্রায় ১০০ গজ দূরে ধোঁয়া উঠছিল। এটি শীত নিবারণের জন্য রাতের বেলা কে বা কারা হয়তো আগুন দিয়েছিল। তারপরও বিষয়টি নাশকতা কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’