পাওনা টাকা না পেয়ে পরিবারকে অবরুদ্ধ, ৯৯৯–এ ফোন করে উদ্ধার

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় পাওনা টাকা না পেয়ে একটি পরিবারকে ঘরে তালা দিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী হেরা বেগম। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পরানপুর গ্রামের ইলিয়াস আলী মোল্যার স্ত্রী হেরা বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী মমতাজ বেগমের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গতকাল বিকেলে মমতাজ বেগম কয়েকজনকে নিয়ে হেরা বেগমের বাড়িতে গিয়ে গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই গ্রামের মহিউদ্দিন মিন্টু নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে মমতাজ বেগমসহ কয়েকজন হেরা বেগমের বাড়িতে গিয়ে হামলার চেষ্টা করেন। হেরা বেগম তাঁদের দেখে দৌড়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়লে মহিউদ্দিন ও তাঁর লোকজন ঘরের দরজাগুলোতে তালা দিয়ে দেন। এরপর গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান। সকালে হেরা বেগম বিষয়টি মুঠোফোনে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ভাষান মোল্যা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রিজাউল মোল্যাকে জানালে তাঁরা চেষ্টা করেও তালা খুলে দিতে পারেননি। এরপর আজ দুপুর ১২টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা খুলে ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে ওই পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে।

রিজাউল মোল্যা বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য গতকাল রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়া হয়েছিল। দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসা হবে। কিন্তু এর আগে তাঁদের বিল্ডিংয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন পাওনাদারেরা। যা মারাত্মক অন্যায় হয়েছে।

এ বিষয় মহিউদ্দিন মিন্টু বলেন, ‘আমি টাকা পাব না। আমার বড় ভাই হেরা বেগমের কাছে টাকা পাবেন। অনেকবার চাওয়ার পরও দিচ্ছেন না। অবশেষে তাঁর বিল্ডিংয়ে তিনটি প্রবেশদ্বারে আমি তালা লাগিয়ে দিয়েছি।’

কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাবুল আখতার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’