সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের ১০ মাসের মাথায় দুটি উপজেলা ও একটি কলেজে আহ্বায়ক ও আংশিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ এক বিজ্ঞপ্তিতে বালাগঞ্জ উপজেলা ও বালাগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আংশিক এবং ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন।
এর আগে গত বছরের ১২ অক্টোবর নাজমুল ইসলামকে সভাপতি ও রাহেল সিরাজকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য। তখন মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল রাতে দুই উপজেলা ও একটি কলেজের কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে প্রথম কমিটি ঘোষণা করলেন তাঁরা। এর আগে নাজমুল ইসলাম ও রাহেল সিরাজ দায়িত্ব পাওয়ার পর স্থগিত থাকা ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কমিটি গত বছরের ডিসেম্বরে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিলেন। এ ছাড়া চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল বালাগঞ্জ উপজেলা ও বালাগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের রেজান আহমদ শাহকে আহ্বায়ক করে ৪১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ১০ জন যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৩০ জনকে সদস্য করে তিন মাসের জন্য এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ২৫ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে এ কে টুটুল সভাপতি ও সামছুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। কমিটিতে ১৪ জন সহসভাপতি, ৪ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৫ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। এ ছাড়া বালাগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখায়ও এক বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৬ সদস্যের আংশিক কমিটিতে জাহিদ হোসেনকে সভাপতি করা হয়েছে। আর রাকিক হোসেন সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। কমিটিতে সাতজনকে সহসভাপতি, তিনজনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চারজনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর দলকে সুসংগঠিত করার কাজ করছেন তাঁরা। আগস্টের পরপরই জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারবেন বলে তাঁরা আশাবাদী। দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম কমিটিও গঠন করেছেন। তিনি বলেন, শোকের মাসের পরে জেলা ছাত্রলীগের অধীনে থাকা সব উপজেলা ও কলেজে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিটি গঠন করা হবে।