পুলিশে চাকরির নামে প্রতারণা, ঘুষের ৩ লাখ টাকাসহ ভুয়া কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার জাকির হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে কনস্টেবল পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেওয়া তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া শহরের সপ্তপদী মার্কেট থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম জাকির হোসেন (৫৫)। তিনি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার চক সেকেন্দার গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি রংপুর মহানগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জলকর এলাকায় বসবাস করেন।

বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ মো. সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার জাকির হোসেন স্বীকার করেছেন, তাঁরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। পুলিশে নিয়োগ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়োগপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। প্রতারণার এ চক্রের সঙ্গে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক ও বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার রানীরপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ ছানাও জড়িত। গ্রেপ্তার জাকিরকে আজ শুক্রবার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

মামলার এজাহার ও ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার বুজরুক মাঝিরা এলাকার এক তরুণ পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য গত ডিসেম্বরে আবেদন করেন। ওই তরুণের বাবা ইকবাল হোসেনের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর ছেলে কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য শারীরিক যোগ্যতা, কাগজপত্র যাচাই, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হয়। এ খবর পেয়ে আবদুর রাজ্জাক প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যসহ বাড়িতে আসেন। জাকির হোসেন এ সময় নিজেকে পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ১৬ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে ডাক্তারি পরীক্ষার সময় অযোগ্য ঘোষণা করা হবে বলে হুমকি দেন। পরে ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।

ডিবি পুলিশের সূত্রে জানা যায়, প্রতারক চক্রটি ২১ মার্চ সদর উপজেলার পাকুরতলা এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় বসে নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ১৪ লাখ টাকার স্বাক্ষর করা একটি চেক হাতিয়ে নেন। অবশিষ্ট টাকা শোধ দিলে চেক ফেরত দেবেন বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে ইকবাল হোসেন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁরা কেউ পুলিশ কর্মকর্তা নন, প্রতারক চক্রের সদস্য। পরে তিনি প্রতারকদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।