দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়, মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই রোদের দেখা

ফাইল ছবি: প্রথম আলো

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শীতে কাঁপছে এই জনপদের মানুষ। হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কুয়াশার পরিমাণ কিছুটা কমে যাওয়ায় সকাল সাড়ে ৭টায় দেখা মেলে সূর্যের। এতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

৫ জানুয়ারি থেকে টানা ১৭ দিন ধরে উত্তরের এই জনপদে কখনো মাঝারি, আবার কখনো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ সময়টাতে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই পঞ্চগড়ে শুরু হয় উত্তরের হিমেল বাতাস। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে ঘন কুয়াশার দাপট। রাতভর টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরা কুয়াশায় ভিজে যায় পিচঢালা পথ। তবে সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে কমে যায় কুয়াশার পরিমাণ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ প্রথম আলোকে বলেন, তেঁতুলিয়ায় বর্তমানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ আবারও তাপমাত্রা কমে গেছে। তবে সকাল সাড়ে ৭টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে দিনের তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। এতে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, শীতকালে হিমালয়ের পাদদেশে বায়ুচাপ বেশি থাকে। অপর দিকে বাংলাদেশে বায়ুচাপ কম থাকে। যেহেতু বায়ুচাপ বেশি ঘনত্ব থেকে কম ঘনত্বের দিকে যায়, সেই হিসাবে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে হিমেল বায়ু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করায় বেশি শীত অনুভূত হয়। এ ছাড়া শীতকালে ভারতের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সূর্য তির্যকভাবে (হেলে) আলো ছড়ায়। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশেও আলো ছড়ায় সূর্য। এতে সূর্যের উত্তাপ ছড়াতে সময় লাগে।

অপর দিকে শীতকালে রাতের চেয়ে দিন ছোট হওয়ায় এবং মাঝেমধ্যে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের উত্তাপ পরিপূর্ণভাবে ছড়াতে পারে না; এতে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় শীত বেশি অনুভূত হয়।