চট্টগ্রামে এক আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির তিন নেতা

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির তিন নেতা—নাজমুল মোস্তফা আমিন (দলীয় প্রার্থী), মুজিবুর রহমান ও জামাল হোসেনছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু করেছেন প্রার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র নিয়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১৮ প্রার্থী। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির তিন নেতা।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য নাজমুল মোস্তফা আমিন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। তাঁকে বিএনপি প্রার্থী করেছে। একই আসন থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন ও মজিবুর রহমানও মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। ৪ ও ৬ ডিসেম্বর দুই দিন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা। তাঁদের দাবি ছিল, নাজমুল মোস্তফা আমিনের পরিবর্তে মুজিবুর রহমানকে প্রার্থী করতে হবে। ফলে এ আসন ঘিরে বিএনপির মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেননা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আরও দুজন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসন থেকে, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) থেকে, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) থেকে, দক্ষিণ জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ এনামুল হক চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) থেকে, এ ছাড়া দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) থেকে, কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের মধ্যে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে মোহাম্মদ ফরিদুল আলম, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) থেকে হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুল মালেক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) থেকে বোয়ালখালী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. আবু নাছের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

অন্য প্রার্থীদের মধ্যে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) থেকে এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল অলি আহমদের ছেলে ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ জুলফিকার আলী, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) থেকে আপ বাংলাদেশের মোহাম্মদ ইমাম উদ্দিন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

অন্যদিকে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র নেওয়ার মধ্যে আছেন চট্টগ্রাম-৯ থেকে মিলন কান্তি শর্মা, চট্টগ্রাম-২ থেকে জিন্নাত আকতার, চট্টগ্রাম-১৪ থেকে মোহাম্মদ মিজানুল হক চৌধুরী।

চট্টগ্রামে মোট ১৬টি সংসদীয় আসন রয়েছে। এবার রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী। এর বাইরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।