মেয়র খায়রুজ্জামানের শপথ অনুষ্ঠানের বহরে ৩০০ নেতা–কর্মী

শপথ অনুষ্ঠান শেষে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে নেতা-কর্মী ও কাউন্সিলরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান। আজ সোমবার দুপুরে
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পুনরায় নির্বাচিত মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের শপথ অনুষ্ঠানের বহরে ছিলেন আওয়ামী লীগের ৩০০ নেতা-কর্মী। এ ছাড়া এই বহরে ছিলেন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও কয়েকটি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
রাজশাহীর সাতজন সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। এর মধ্যে তিনজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় শপথ অনুষ্ঠান শেষে আজ সোমবার দুপুরে তাঁরা টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য পাঁচটি বাসে ১৮০ জন ও আলাদাভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে প্রায় ৩০০ নেতা-কর্মী রাজশাহী থেকে ঢাকায় যান। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে রাজশাহীর সাতজন সংসদ সদস্য আমন্ত্রিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের মনসুর রহমান ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আবিদা আঞ্জুম উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, সহসভাপতি শাহীন আকতার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন ও তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম, আইনবিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন, সচিব মশিউর রহমান প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর ১২টায় তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে এক অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানকে শপথ পাঠ করান। পরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের ৩০ জন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ও ১০ সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলররাও একই স্থানে শপথ নেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
শপথ গ্রহণের পর বেলা দুইটায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে দলীয় নেতা ও নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পৃথক পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁরা। তারপর তাঁরা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন।
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে মেয়র ঢাকায় ফিরবেন। আর তাঁর সফর সঙ্গীদের রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, এই সফরে কাউন্সিলরদের ব্যয়ভার সিটি করপোরেশন থেকে এবং বাকিদের মেয়র বহন করেছেন। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সিটি করপোরেশনের সচিব মশিউর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য বলতে চাননি। মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

গত ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট পান।