শ্বশুরের কাটা মাথার খোঁজে পুত্রবধূকে নিয়ে তল্লাশি

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

নগরের বাঁশখালীর হাসান আলীর লাশের ১০ টুকরা উদ্ধার করা হলেও মাথার হদিস এখনো পাওয়া যায়নি। মাথার খোঁজে তাঁর পুত্রবধূ আনারকলিকে নিয়ে গতকাল সোমবার পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। কিন্তু হদিস পাওয়া যায়নি।

২১ সেপ্টেম্বর রাতে নগরের পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় খালের কাছ থেকে একটি লাগেজ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ভেতরে মানুষের হাত ও পায়ের আটটি টুকরা পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া আঙুলের ছাপ নিয়ে তাঁর পরিচয় শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ হাসান আলীর স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বাসার পাশের একটি ডোবা থেকে লাশের আরও দুটি অংশ উদ্ধার হয়। কিন্তু মাথাটা পাওয়া যায়নি। ২৬ বছর পর বাড়িতে ফিরে আসা হাসান তাঁর ভিটেবাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চালানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে দুই ছেলে তাঁকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করেন। বাসায় তখন মা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ছিলেন। সেদিন বাবার লাশটি বস্তার ভরে বাসার খাটের নিচে রেখে দেন। পরে টুকরা করে বস্তা ও লাগেজে ভরে দূরে ফেলে দেন। লাগেজটি ফেলেন পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাটে আর বস্তাটি বাসার পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবাকে খুনের বর্ণনা দেন এভাবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত হাসান আলীর ছোট ছেলে শফিকুর রহমানের স্ত্রী আনারকলি। তিনি ঘটনায় সরাসরি জড়িত নন। তবে স্বামীর নির্দেশে আলামত গোপনের সঙ্গে জড়িত। ঘটনার পরদিন আনারকলি ও তাঁর স্বামী পতেঙ্গা সৈকতে গিয়ে পাথরের ব্লকের ভেতর শ্বশুরের মাথাটি ফেলে দেন বলে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। পরে তাঁকে নিয়ে গত রোববার ও গতকাল সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু মাথাটির হদিস পাওয়া যায়নি।

তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, শ্বশুরের লাশটি কাটার জন্য ধামা, কাটা টুকরাগুলো মোড়ানোর জন্য প্লাস্টিকে ব্যাগ ও টেপ কিনে এনেছিলেন আনারকলি।