কক্সবাজারে আ.লীগের জনসভায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের নির্দেশ অধ্যক্ষের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তৈরি করেছেন শতাধিক তোরণ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কলাতলী সৈকত সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টসংলগ্ন শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে হচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভা। জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই জনসভায় শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

৫ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এর সমালোচনা করেন। কেউ কেউ অধ্যক্ষের এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সব শিক্ষার্থীকে জানানো হচ্ছে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কক্সবাজার আগমন উপলক্ষে শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আয়োজিত ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় জনসভায় অংশগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলো। উল্লেখ্য, জনসভায় কোনো প্রকার ব্যাগ, কোনো ধাতব বস্তু, মোবাইল ফোন ইত্যাদি বহন করা যাবে না।’

দক্ষিণ চট্টগ্রামে উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে বড় এই সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে কলেজটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) টানা ১৪ বছরের প্রধানমন্ত্রী, আমাদের প্রশাসনিক প্রধান। তাঁর হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া তিনি কক্সবাজারের উন্নয়নে অনেক প্রকল্প দিয়েছেন। দেশের বৃহত্তম এবং আইকনিক রেলস্টেশনটি নির্মিত হচ্ছে এই কলেজের সামনের জায়গায়। জনসভায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিতে পারেন। কক্সবাজার কলেজসহ জেলার উন্নয়নে অনেক প্রকল্প ঘোষণা দিতে পারেন। এসব শিক্ষার্থীদের জানা দরকার।’

অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের দাবি, শিক্ষার্থীরা নিজেরাই শেখ হাসিনার ওই জনসভায় যেতে আগ্রহী। তাঁরা জনসভায় যেতে কলেজ বন্ধের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে তাঁকে বাধ্য করেছেন। সে ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে তিনি দোষের কিছু করেননি। একটি চক্র ওই বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চক্রান্ত করছে।

পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশগ্রহণের নির্দেশের বিষয়ে অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কলেজের পাঠদান বন্ধ রাখিনি। কলেজ খোলা আছে এবং ওই দিন ক্লাসও চলবে। শিক্ষার্থীরা যারা ক্লাস করতে চায়, করতে পারবে। যাদের ক্লাস নেই, তারা জনসভায় যাবে। ওরা তো (শিক্ষার্থীরা) আর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থী না, যে লাইন ধরে তাদের জনসভায় নেওয়া হবে।’