যশোরে মাঠে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পরই শিক্ষকের মৃত্যু

আহসান হাবিব (৩৭)
ছবি: সংগৃহীত

যশোরে মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়িতে আসার পর আহসান হাবিব (৩৭) নামের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, গরমে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন।

আহসান হাবিব সদর উপজেলার সিলমপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় লোকজন বলেন, সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ির অদূরে খেতে ধান কাটতে যান আহসান হাবীব। ধান কাটার একপর্যায়ে মাঠেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় তিনি নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে আবার বাড়িতে ফেরেন। মোটরসাইকেল রেখেই তিনি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় স্বজন ও সহকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। যে কারণে মৃত্যুর সঠিক কারণ আমরা বলতে পারছি না। হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা কম। কারণ, সকালে তাপমাত্রা কম থাকে। হার্টঅ্যাটাক থেকে মৃত্যু হতে পারে। সঠিক কারণ জানতে চাইলে ময়নাতদন্ত করতে হবে। কিন্তু পুলিশ বা পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ ময়নাতদন্ত করতে চায়নি। যে কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ জেড এম পারভেজ মাসুদ বলেন, সকালে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে আহসান হাবিব অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে তিনি বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে ফিরে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য বিদ্যালয় থেকে দুজন শিক্ষককে তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়। অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

আবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড গরমে আহসান হাবিবের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, ১৩ দিন ধরে যশোরে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাইরে লু হাওয়া বইছে। প্রচণ্ড দাবদাহে প্রাণিকুলের হাঁসফাঁস অবস্থা। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।