মৌলভীবাজারে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ নেতা আটক

মৌলভীবাজার জেলার মানচিত্র

সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে মৌলভীবাজার শহরে প্রচারমিছিল থেকে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে তাঁদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে মৌলভীবাজার সদর থানার পুলিশ। তবে কী অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলেনি।

এই পাঁচজনকে আটকের পর আজ বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পাঁচজনের কথা বললেও সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী ও সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। তাঁরা হলেন মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজু চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সাব্বির আহমদ।

বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার সারা দেশে বিএনপির সমাবেশে জনসম্পৃক্ততা দেখে দিশাহারা হয়ে গেছে। তাই সমাবেশকে সামনে রেখে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো সিলেটেও ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। তবে কোনো ষড়যন্ত্রই ১৯ নভেম্বর সিলেটের গণসমাবেশকে আটকাতে পারবে না। জনগণ সব অপকর্মের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

বিবৃতির বিষয়ে মিফতাহ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে মৌলভীবাজার শহরে প্রচারমিছিল থেকে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতাদের পুলিশ আটক করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশ নেতা-কর্মীদের প্রচারমিছিলে বাধা দিচ্ছে। এটি দুঃখজনক।

এ বিষয়ে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, কোথাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটলে কিংবা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পেলে পুলিশের বাধা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বিএনপি নির্বিঘ্নে কর্মসূচি পালন করছে। আটকের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, ‘পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তারা আমাদের হেফাজতে আছে। তাদের বিষয়ে তথ্য যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।’