যত দিন মনে হবে টিসিবির পণ্য দেওয়া দরকার, তত দিন দেওয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার দুপুরে রংপুর নগরের রাধাবল্লভ এলাকায় ডায়াবেটিস সমিতি ভবনের সামনে
ছবি: মঈনুল ইসলাম

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, টিসিবির পণ্য এক কোটি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে, সেটি অব্যাহত থাকবে । তিনি বলেন, যত দিন মনে হবে টিসিবির পণ্য দেওয়া দরকার, তত দিন দেওয়া হবে। আজ বুধবার দুপুরে রংপুরে দুই দিনের সফরে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নিত্যপণ্য আমদানির বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, আটটি পণ্য বাকিতে আমদানি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কি না, এটি একটি বিষয়। আরেকটি বিষয়, আমদানি করার সময় ডলারের দাম বেশি হচ্ছে কি না। রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ বিবেচনায় এসব পণ্য আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে টিপু মুনশি বলেন, ‘এখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, সেটি চাই। সাধারণ মানুষ যেমনটি চায়, তেমনটাই চাই।’

আমদানি পণ্য ও ডলারের দাম বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমাদের দেশে ডলারের দাম বেড়েছে। এতে ইমপোর্ট আইটেমগুলোর ওপর প্রভাব পড়েছে। আমরা সে অনুযায়ী হিসাব-নিকাশ করি। অন্যান্য দেশে যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে, তা থেকে আমাদের দেশে কম আছে। যার জন্য আমাদের দেশে প্রভাব পড়েনি। অন্যান্য দেশের চেয়ে আমরা ভালো আছি।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডলারের মূল্য যত দিন পর্যন্ত ঠিক না হবে, আমদানি পণ্যের ওপর প্রভাব থাকবেই। কৃষিপণ্য যেটি শীতের ফসল—এসবের দাম তো স্থিতিশীল আছে। পেঁয়াজ তো এখন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেসব পণ্য আমদানি করতে হয় যেমন তেল, চিনি, ডাল ইত্যাদির দাম কবে কমবে, তা বলা মুশকিল। সয়াবিন তেলের দাম কখনো কমছে, আবার বেড়ে যাচ্ছে। যদি ইউক্রেন যুদ্ধটা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বাজারে প্রভাব পড়বে। হয়তো দাম কমবে।

বিএনপির রাজনীতি বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা—নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্রের কথা। এখানে রাজপথে কেউ কাউকে উঠিয়ে দেবে, সেটি সম্ভব নয়। তিনি মনে করেন, আগামী নির্বাচনে সবার আসা উচিত। তাহলে দেশ শান্তিতে থাকবে।