দাদুর স্মৃতিবিজড়িত স্কুলে ফুটবলার শমিত, রাতেই কানাডার উদ্দেশে যাত্রা

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেই শমিত সোমকে ঘিরে ধরে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভিক্টোরিয়া উচ্চবিদ্যালয়েছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফুটবলার শমিত সোম হাজির হন তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভিক্টোরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়েই শিক্ষকতা করেছিলেন তাঁর দাদু মানিক লাল সোম, যিনি ছিলেন স্কুল ফুটবল দলের কোচ। তাঁরই নাতির জাতীয় দলে অভিষেকের সাফল্যে যেন নতুন আলোয় ভাসে সেই শিক্ষাঙ্গন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিক্টোরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে ঢুকতেই শমিতকে ঘিরে ধরে শিক্ষার্থীরা। তারা ‘শমিত ভাই, শমিত ভাই’ স্লোগানে মুখর করে তোলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। মুহূর্তেই ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী ফুল দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। পরে শমিত স্কুল ভবন ও খেলার মাঠ ঘুরে দেখেন। তাঁর দাদু মানিক লাল সোমের প্রতি স্মৃতিচারণা করেন উপস্থিত শিক্ষকেরা।

ভিক্টোরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী বলেন, ‘শমিত সোমের দাদু মানিক লাল সোম এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন এবং ফুটবল দলের কোচ ছিলেন। তিনি খুব ভালো ফুটবল খেলতেন এবং এই অঞ্চলে তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। শমিতের বাবা মানস লাল সোমও এই বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। আজ আমরা শমিতকে এসব বিষয়ে জানিয়েছি এবং পুরো বিদ্যালয় ঘুরে দেখিয়েছি।’

শমিত সোম বলেন, ‘শুনেছি, আমার দাদু মানিক সোম খুব ভালো ফুটবলার ছিলেন। অনেকেই বলেন, যদিও তাঁকে খেলতে দেখার সুযোগ হয়নি। তারপরও ভাবতে ভালো লাগে যে আমার ফুটবলের প্রতিভা হয়তো পরিবার থেকেই এসেছে। ভিক্টোরিয়া স্কুল শুধু আমার দাদুর কর্মস্থল ছিল না, এটা আমাদের পরিবারের স্মৃতির অংশ। ছোটবেলায় দাদুর মুখে এই স্কুলের ফুটবল দলের গল্প অসংখ্যবার শুনেছি। আজ এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন সেই গল্পগুলোর ভেতরেই হাঁটছি।’

পরে শমিত বিকেল চারটার দিকে উত্তরসুর থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন। সিলেট থেকে ঢাকায় গিয়ে রাত দেড়টার ফ্লাইটে তিনি কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন তাঁর কাকাতো ভাই সৌরভ প্রসাদ সোম।

এর আগে গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে শমিত সোম শ্রীমঙ্গলের দক্ষিণ উত্তরসুর গ্রামে পরিবারের কাছে বেড়াতে এসেছিলেন।