আশুলিয়ায় বিছানায় পড়ে ছিল স্ত্রীর লাশ, ঘরের আড়ায় ঝুলছিলেন স্বামী

লাশপ্রতীকী ছবি

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় আজ সোমবার বিছানার ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন মনি বেগম। পাশেই ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না গলায় প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল স্বামীর লাশ। খবর পেয়ে আশুলিয়ার নরসিংহপুরের ইউসুফ মার্কেট এলাকায় ওই ভাড়া বাসা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা–পুলিশ।

কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

মৃত রুহুল আমিন হাওলাদার (৪০) পটুয়াখালীর লোহালিয়া ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের হাকিম আলী হাওলাদারের ছেলে এবং মনি বেগম (২৭) বরগুনার আমতলী উপজেলার মো. সোবহান মৃধার মেয়ে। রুহুল আমিন পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী ও মনি বেগম গৃহিণী।

আশুলিয়া থানা-পুলিশ জানায়, নরসিংহপুরের ইউসুফ মার্কেট এলাকায় রেহানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় ভাড়া থাকতেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও মনি বেগম দম্পতি। দুপুরের দিকে রেহানা বাসা থেকে ভাড়াটেদের কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় জানালা দিয়ে বাসার ভেতরে উঁকি দেন। এ সময় তিনি খাটের ওপর মনিকে পড়ে থাকতে এবং রুহুল আমিনকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে আশুলিয়া থানা–পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ দুটি উদ্ধার করে।

নিহত মনির ভাগিনা মো. রিফাত বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে তাঁদের (আমিন হাওলাদার ও মনি) বিয়ে হয়। পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে রোজার ঈদের পর তাঁদের ঝগড়া হয়েছিল। তখন তাঁর খালা (নিহত মনি) সংসার করবেন না বলেছিলেন। তাঁদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্তের পরই প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।