সম্মেলনের ৭ মাস পর সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা গ্রহণ করেন নেতারা। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে
ছবি: সংগৃহীত

সম্মেলনের প্রায় সাত মাস পর সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার ধানমন্ডির কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা গ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল হুদা।

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি। জেলা শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের শুধু জেলা কমিটির নতুন সভাপতি নূরুল হুদা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নোমান বখতের নাম ঘোষণা করেন। সম্মেলনের প্রায় সাত মাস পর শনিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো। কমিটির উপদেষ্টা করা হয়েছে ১১ জনকে। সহসভাপতি হিসেবে আছেন ১১ জন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তিনজনকে। সদস্য হিসেবে আছেন ৩৬ জন।

কমিটির বিষয়ে নূরুল হুদা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সংগঠিত ও শক্তিশালী। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায় নেতা-কর্মীরা আরও উজ্জীবিত হবেন। সব অপশক্তি মোকাবিলা করে জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা হবে।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে আছেন সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান, মতিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির, রেজাউল করিম, আবদুল করিম, নাদের বখত, আবুল কালাম চৌধুরী, করুণা সিন্ধু চৌধুরী, দিলীপ কুমার দাস, মো. চান মিয়া ও আজহারুল ইসলাম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ চৌধুরী, হায়দার চৌধুরী লিটন ও মো. নজরুল ইসলাম।

আইনবিষয়ক সম্পাদক আজাদুল ইসলাম; কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান; তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সবুজ কান্তি দাস; ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শীতেস তালুকদার; দপ্তর সম্পাদক বিমান কান্তি রায়; ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মফিজুল হক; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কল্লোল তালুকদার; বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান; মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান; যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক স্বপন রায়; শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রশিদ; শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মাসুম আহমদ; শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক; সাংস্কৃতিক সম্পাদক আপ্তাব মিয়া; স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক চিকিৎসক আবুল কালাম চৌধুরী; সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস, জীতেন্দ্র তালুকদার ও আসাদুজ্জামান সেন্টু; উপদপ্তর সম্পাদক নিজাম উদ্দিন; উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুভ বণিক; কোষাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান তালুকদার।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্ত, মোয়াজ্জেম হোসেন, শামীমা আক্তার; নান্টু রায়, সৈয়দ আবুল কাশেম, আবুল কালাম, খায়রুল কবির, জুনেদ আহমদ, খায়রুল হুদা, রনজিৎ সরকার, সৈয়দ ফারুক আহমেদ, মো. সেলিম আহমেদ, আজমল হোসেন, আল আমিন চৌধুরী, এমদাদ রেজা চৌধুরী, সৈকতুল ইসলাম, অনুপম রায়, অনুকুল তালুকদার, অমল কান্তি কর, আজাদ হোসেন, সজিব রঞ্জন দাস, আবদুল ওদুদ, এ টি এম শাহীন, অজয় কান্তি তালুকদার, মাহতাবুল হাসান, নায়েব আলী, মো. সাহারুল আলম, মাসুক আহমদ সরকার, কামরুল হুদা, লিটন সরকার, সাজ্জাদ হোসেন,  গোলাম কিবরিয়া, আতিকুল ইসলাম, প্রদ্যুত কুমার তালুকদার ও শাহরিয়ার বিপ্লব।

১১ জন উপদেষ্টা হলেন সিদ্দিক আহমেদ, আফতাব উদ্দিন, রইছ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ, অবনি মোহন দাস, আবদুস সোবহান, ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক, কামরুজ্জামান দারা, জসিম উদ্দিন, করুণা সিন্ধু তালুকদার ও আলতাফ উদ্দিন।