জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরি করতে না পেরে ছাত্রীদের গালিগালাজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আবাসিক হল চত্বরে ঢুকে একটি কক্ষে কৌশলে চুরির চেষ্টা হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে ছাত্রীরা চিৎকার করলে অকথ্য ভাষায় গালি দেয় ওই চোর। আজ মঙ্গলবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে এ ঘটনা ঘটে।

শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীরা ও হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে হলের ১১৫ নম্বর কক্ষের জানলার ভাঙা অংশে লম্বা বাঁশ দিয়ে চুরির চেষ্টা করেন এক যুবক। বাঁশ দিয়ে ওই কক্ষ থেকে ব্যাগ টেনে বের করার সময় বিষয়টি দেখে ফেলেন এক ছাত্রী। তিনি বাঁশটি টেনে ধরে চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করেন। তখন অন্য কক্ষের ছাত্রীরা এগিয়ে আসেন। এ সময় যুবকটি জানালার পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ছাত্রীদের উদ্দেশে অকথ্য ভাষায় গালি দেন। পরে হলের নিরাপত্তারক্ষীরা এগিয়ে আসেন। তবে এর আগেই ওই যুবক সেখান থেকে পালিয়ে যান।

হলের এক কর্মকর্তারা জানান, একই সময়ে ১১৫ নম্বর কক্ষের ঠিক উল্টো দিকের অপর পাশের একটি কক্ষে এক ছাত্রীকে ‘এই’ বলে ডাক দেন আরেক যুবক। পরে ওই ছাত্রী পাশের কক্ষ থেকে বান্ধবীদের ডেকে আনেন। তখন ওই যুবক সটকে পড়েন।
এ ঘটনার পরপরই শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ হোসনে আরা ঘটনাস্থলে যান। পরে তিনি হলের ওয়ার্ডেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্য প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১১৫ নম্বর কক্ষের এক ছাত্রী বলেন, ‘ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আমাদের কক্ষের জানলার ভাঙা অংশে বাঁশ দিয়ে চুরির চেষ্টা চালানো হয়। বিষয়টি দেখে চিৎকার করার পর চোর গালিগালাজ করে। হলের অন্য ছাত্রীরা চিৎকার করলেও সে সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। কোনো ভয়ডর ছিল না তার। পাঁচ-সাত মিনিট গালিগালাজ করল, অথচ গার্ডরা তাকে ধরতেই পারল না।’

শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ হোসনে আরা প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এখানে ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। একই সময়ে দুটি ঘটনায় মনে হচ্ছে, চুরির ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটনো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হলের চারপাশ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা ও হলের সীমানাপ্রাচীরে কাঁটাতার বসানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।