খুলনায় ইভিএমে বিভ্রাটের অভিযোগ ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থীর

ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী আবদুল আউয়াল
ছবি: প্রথম আলো

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী আবদুল আউয়াল ভোট দিয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ১০টায় নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বানিয়া খামার দারুল কুরআন বহুমুখী মাদ্রাসা কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। ভোট দিয়ে তিনি তাঁর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে ইভিএমে ভোট দিতে বিভ্রাটের অভিযোগ করেছেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও খুলনা নগর শাখার সভাপতি আবদুল আউয়াল সাংবাদিকদের কাছে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ভোটের পরিবেশ ভালো হলেও কিছু কিছু কেন্দ্র থেকে অভিযোগ আসছে। খালিশপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের স্যাটেলাইট স্কুল কেন্দ্রের ৩ নম্বর কক্ষে হাতপাখা প্রতীকে চাপ দিলে নৌকা প্রতীক চলে আসছে। বিষয়টা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেন্ট জেভিয়ার্স বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন কেন্দ্রে ও ঈদগাহ কেন্দ্রে ইভিএমে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন।

আবদুল আউয়াল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। সারা দিন যদি এ রকম পরিবেশ থাকে, তাহলে মানুষ ভোট দিতে পারবে। প্রকাশ্য বা গোপন কোনো ষড়যন্ত্র না থাকলে আমরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’ তিনি বলেন, প্রায় সব কেন্দ্রেই তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট আছেন। কেউ কোনো ধরনের চাপ অনুভব করছেন না। শেষ পর্যন্ত যদি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়, তাহলে ফলাফল যা আসবে, তা তিনি মেনে নেবেন।

নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের এ মেয়রপ্রার্থী বলেন, মানুষ দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেননি। আজ মানুষ কেন্দ্রে আসা শুরু করেছেন। পরিবেশ ভালো মনে হচ্ছে। আনন্দচিত্তে মানুষ ভোট দিতে আসছেন। মানুষ যদি ভোট দিতে পারেন, মেশিনে বিভ্রাট না থাকে, তাহলে মানুষ সরকারের এই ভোটকে প্রশংসা করবে।

কেন্দ্র থেকে ফলাফলের কপি প্রিন্ট আকারে পাওয়ার দাবি জানিয়ে আবদুল আউয়াল বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার খুলনা এসে তাঁদের আশ্বস্ত করেছিলেন। তাঁদের দাবি থাকবে, ভোট শেষে ফলাফল যেন প্রিন্ট আকারে তাঁদের দেওয়া হয়। হাতে লেখা কোনো ফলাফল তাঁরা গ্রহণ করবেন না।

গত সিটি নির্বাচনের বিষয়ে আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতবার তো ভোটই হয়নি। আমরা ১১টার সময় ভোট বর্জন করেছিলাম। চিহ্নিত ভোট ডাকাতেরা ভোট ডাকাতি করে, ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। কাজেই সেই ভোট ডাকাতি যদি এবার না হয়, গোপন ও প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র যদি না হয়, ভোট সুষ্ঠু ও অবাধ হয়; তাহলে জনগণ ভোট ডাকাতদের বয়কট করবে।’