হবিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ৫০

হবিগঞ্জ জেলার মানচিত্র

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় একটি ডোবায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সুব্রত দাস (৩৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের মশাকলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জয় কুমার দাস ও ইউপি সদস্য শনি দাসের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে আরও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের মধ্যে ভূমি ও ডোবা নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজ ডোবায় মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুবিদপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও মশাকলি গ্রামের বাসিন্দা জয় কুমার দাস এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য শনি দাসের মধ্যে গ্রামের কিছু পতিত জমি ও একটি ডোবার দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলাও চলছে। আজ বেলা একটার দিকে ইউপি সদস্য শনি দাসের লোকজন ওই ডোবায় মাছ ধরতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন বাধা দেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটা-বল্লম, লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি হতাহত হন।

হতাহতদের মধ্যে গুরুতর আহত সুব্রত দাসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুব্রত দাস শনি দাসের সমর্থক ছিলেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ১৫ থেকে ১৭ জনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যরা বিভিন্নভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সুবিদপুর ইউপির চেয়ারম্যান জয় কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য শনি দাস এবং তাঁর লোকজন অন্যায়ভাবে গ্রামের অসহায় মানুষের ওপর হামলা করেছেন। হামলায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য শনি দাস বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জয় কুমার দাসের লোকজন তাঁদের জমি অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছেন। গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিবাদ করায় তাঁদের ওপর হামলা করা হয়।