বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে গেল ৪২ টন আলু

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে ৪২ টন আলু পাঠানো হয়। এর আগে আলুবোঝাই ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন কয়েকজন। গতকাল দুপুরে তোলাছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে এবার নেপালে ৪২ টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে ‘থিংকস টু সাপ্লাই’ নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট তাসীন ট্রেড লিংক’–এর মাধ্যমে এসব আলু রপ্তানি করে।

গতকাল রাতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট তাসীন ট্রেড লিংকের প্রতিনিধি মোমিনুর ইসলাম জানান, গতকাল থিংকস টু সাপ্লাই নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নেপালে ৪২ টন আলু রপ্তানি করেছে। এর মাধ্যমে বন্দরটি দিয়ে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো আলু রপ্তানি করা হলো। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার এসব আলু প্রতি টন ১৫২ ডলার দরে রপ্তানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব আলু নেপালের কাঁকরভিটায় নেওয়া হবে। বন্দরটি দিয়ে নেপালে আরও আলু রপ্তানি হতে পারে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. নুর হাসান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এসব আলুতে কোনো ধরনের সংক্রমণ বা পোকামাকড় আছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কোয়ারেন্টিন সনদ দেওয়া হয়েছে।

সাধারণত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি হয়, তার ৯৫ শতাংশই পাথর। এসব পাথর ভারত ও ভুটান থেকে আমদানি হয়ে থাকে। এ ছাড়া ভারত ও নেপাল থেকে চা প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্রাংশ, চিটাগুড়, আদা ও পেঁয়াজ আমদানি হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট, গ্লাস, ওষুধ, ব্যাটারি, খাদ্যপণ্য, টিস্যু পেপারসহ বিভিন্ন পণ্য ভারত ও নেপালে রপ্তানি হয়।