হঠাৎ ছুটে আসা গুলিতে গুলিবিদ্ধ রোয়াংছড়ির সেই নারী মারা গেছেন
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার হিমাগ্রীপাড়ায় ১৩ জানুয়ারি গুলিবিদ্ধ নারী উমেপ্রু মারমা (৩৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার রাতে মারা গেছেন। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতাল তিনি পাঁচ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে রোয়াংছড়ি থানার পুলিশ আজ রোববার জানিয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গতকাল সকাল থেকে তলপেটে গুলিবিদ্ধ উমেপ্রু মারমার অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর লাশ এখনো চট্টগ্রামের হাসপাতালে রয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ প্রথমে বান্দরবানের বালাঘাটায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে আনা হবে। সেখান থেকে বান্দরবান-ওয়াইজংশন-রুমা সড়কের হিমাগ্রীপাড়ায় নিয়ে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করা হবে বলে নিহত নারীর দেবর অমিত তঞ্চঙ্গ্যা জানিয়েছেন।
নিহত উমেপ্রুর ভাই উসাইমং মারমা জানিয়েছেন, তাঁর বোন হিমাগ্রীপাড়ায় তাঁদের বাড়িতে (বাবার বাড়ি) দুই মেয়ে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে খামারে যাওয়ার পথে হঠাৎ ছুটে আসা গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তবে কে বা কারা কেন তাঁকে গুলি করেছে, তা তাঁরা জানতে পারেননি। বোনের মা হারা দুই মেয়ে এখনো হিমাগ্রীপাড়ায় তাদের বাড়িতে রয়েছে। বড় মেয়ে নবম শ্রেণিতে ও ছোট মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, উমেপ্রু চিকিৎসাধীন থাকায় পরিবারের লোকজন মামলা করতে আসেননি। গতরাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের লোকজন এলে হত্যা মামলা করা হবে। তখন তদন্তে জানা যাবে কে বা কারা তাঁকে গুলি করেছে।