গলাচিপায় বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ

বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস বাজারে হয়েছে।ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস বাজারে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীদের মধ্য সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের গ্রামের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে চরবিশ্বাস বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। একই সময়ে পাশাপাশি এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ব্যানারে সভা ছিল। সভা চলাকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে তাঁদের কর্মিসভা চলছিল। এ সময় নুরুল হকের ভাই আমীনুল ইসলাম নূরসহ দুজন এসে ১০ মিনিটের জন্য তাঁদের আলোচনা বন্ধ করতে বলেন। এ সময় তাঁরা আলোচনা বন্ধ করেন। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই নুরুল হকের ভাই ও তাঁর লোকজন কার্যালয়ে উপস্থিত বিএনপির নেতা–কর্মীদের গায়ে চেয়ার ছুড়ে মারেন। এতে বিএনপির ৮–১০ জন নেতা–কর্মী আহত হন।

আমীনুল ইসলাম নূর বলেন, আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি চান্দিনা ভিটির ইজারাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় তিনিসহ গণ অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরাও ছিলেন। সভা চলাকালে বিএনপির লোকজন তাঁদের ওপর চেয়ার মারতে শুরু করেন। এতে তিনিসহ পাঁচ থেকে দশজন আহত হন।

আমীনুল ইসলাম আরও বলেন, তাঁদের বাড়ির সামনে চরবিশ্বাস বাজারে দুই শতাধিক দোকান আছে। ঈদের আগে চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাকের বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বাজারের দোকানিদের ডেকে চান্দিনা ভিটির ইজারা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে দোকানপ্রতি ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন, যা সরকারি খরচের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি বলেন, ১০ জুন তাঁর ভাই নুরুল হক গ্রামের বাড়ি এলে দোকানিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চান। এ সময় তাঁর ভাই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ইজারা নিতে দোকানিদের নিষেধ করেন। তিনি উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা পেতে তাঁদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীরা এই হামলা চালান।

তবে চান্দিনা ভিটির ইজারা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা করে দাবি করার অভিযোগ অস্বীকার করেন বিএনপির নেতা মো. মজিবুর রহমান।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।