নান্দাইলে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ব্যক্তি ‘মাদকাসক্ত’

ময়মনসিংহের নান্দাইলে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত ব্যক্তির বাড়িতে ভিড়। বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টার দিকে হাড়িয়াকান্দি গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহের নান্দাইলে দুর্বৃত্তদের হামলায় যুবক নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে নান্দাইল থানায় নিহত যুবকের বাবা রমজান আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে খুনের ঘটনার পর জনতার হাতে আটক মো. মাজহারুলকে আসামি করা হয়েছে।

নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের হাড়িয়াকান্দি গ্রামে গত বুধবার রাতে আল আমীন (৩৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন রমজান আলী (৭০)। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত আল আমীনের (৩৮) বাবা মো. রমজান আলীর স্বাক্ষরিত একটি এজাহার গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরের পর মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। খুনের ঘটনার পর জনতার হাতে আটক মো. মাজহারুল নামের এক ব্যক্তিকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তবে মাজহারুল এলাকায় মাদকাসক্ত বলে পরিচিত।

আরও পড়ুন

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, মাজহারুল বুধবার রাতে ধারালো অস্ত্র হাতে রমজান আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে তাঁর ছেলে আল আমীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন। চিৎকার শুনে ছেলেকে বাঁচাতে গেলে বাবাকেও কোপানো হয়। পরে পালানোর সময় মাজহারুলকে উলঙ্গ অবস্থায় আটক করে বেঁধে রাখেন গ্রামবাসী।

নৃশংস এ খুনের ঘটনায় গ্রামবাসী হতবাক হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় আল আমীনের পরিবার পথে বসলেও হামলাকারী মাজহারুলকে নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ চেনেন না বলে দাবি করছেন। অভিযুক্ত মাজহারুল পাশের ধীতপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের পুত্র।

গ্রামবাসী বলছেন, মাজহারুল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কাঁচামালের বোঝা টানার কাজ করতেন। মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়িতে চলে আসতেন। তবে পাশের গ্রাম থেকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অপরিচিত বলে দাবি করা ব্যক্তিটি কী কাজে রমজান আলীর বাড়িতে প্রবেশ করলেন, তা গ্রামবাসীর কাছে রহস্যই মনে হচ্ছে।

জমিজমা নিয়ে বংশীয় লোকেদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে গতকাল অভিযোগ করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু থানায় দেওয়া অভিযোগের বিবরণে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ। তিনি বলেন, পুলিশ এ হত্যার ঘটনা নিয়ে বিশদ তদন্ত করবে। এ ঘটনায় অন্য কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।