পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অডিট আপত্তির তদন্তে দুদক

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দপ্তরে অভিযান চালানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন দুদক কর্মকর্তারা। বৃহস্পিতবার দুপুরে রাজশাহী রেলভবনেছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অডিট আপত্তির তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কেনাকাটায় বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে রাজশাহী রেলভবনে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন নথি ফটোকপি করে নিয়ে গেছেন দুদক কর্মকর্তারা।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল রাজশাহী রেলভবনে অভিযান চালায়। তাঁরা পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারের কক্ষে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন। এরপর কিছু কাগজপত্র নিয়ে চলে যান।

যাওয়ার সময় দুদক কর্মকর্তা আমির হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলের কেনাকাটায় বড় দুর্নীতি হয়। নিরীক্ষায় দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কিছু কর্মকর্তাকে বিভাগীয় শাস্তিও দিয়েছে। এর সূত্র ধরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় তাঁরা অনুসন্ধান শুরু করেন। অনুসন্ধান শেষে কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। এরপর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনামতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের নিরীক্ষায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন কেনাকাটায় কয়েক শ কোটি টাকার দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে। রেল কর্তৃপক্ষ এসব অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করতে পারেনি। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অবসরে যাওয়া কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পেনশনসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, এটি ২০১৮-১৯ সালের অডিট আপত্তির ঘটনা। তাঁর সময়ের নয়। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার শাস্তিমূলক পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে এক গ্রেড নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুদক এখন পত্রিকার খবর দেখে সেই তদন্তে এসেছে। তাদের চাহিদামতো অর্ধেক কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। বাকিগুলো আগামী রোববার দেওয়া হবে।