টানা ৪ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়, বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে শনিবার সকাল সকাল দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের। সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের আম-কাঁঠাল এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা চার দিন ধরে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই জনপদে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশার দাপট কাটলেও উত্তরের হিমেল বাতাসে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। তবে আজ শনিবার সকাল সকাল দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শুক্রবার একই সময়ে তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গত বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত বুধবার ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে টানা তিন দিন থাকে, তাহলে ওই এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

পঞ্চগড়ে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল বাতাস ও কুয়াশায় অনুভূত হচ্ছে কনকনে ঠান্ডা। সকাল সকাল কুয়াশা কেটে উঠছে সূর্য। তবে দিনের বেলা হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় ছড়াতে পারছে না রোদের তীব্রতা। এতে দিনের বেলায়ও অনুভূত হচ্ছে শীত।

আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ফুলপাড়া এলাকায় তালমা নদীর পানিতে নেমে নৌকায় বালু তুলছিলেন মিলন ইসলাম নামের এক শ্রমিক। তিনি বলেন, ‘নদীর পানিখান বরফের মতো ঠান্ডা। পাওলা (পা দুটো) পটপটাছে। কিন্তু কী করিবেন, হামার কাজ তো হামাক করিবায় নাগিবে। অ্যালা (এখন) রোদ উঠিবা ধরিচে (উঠেছে)। অ্যালা কিছুডা আরাম পামো।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, টানা চার দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে এই এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আকাশে কুয়াশা ও মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাসে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এখন থেকে ধীরে ধীরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে তিনি জানান।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষের মধ্যে সরকারিভাবে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। সরকারিভাবে পাওয়া ২৫ হাজার ৫০০টি কম্বল জেলার ৫টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।