মুন্সিগঞ্জে নৌকার প্রচারের পর সরকারি কর্মচারী বললেন, ‘বেশিক্ষণ থাকিনি’

মুন্সিগঞ্জ জেলার মানচিত্র

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকার পক্ষে ভোটের প্রচারণা চালিয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিস সহকারী। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বালিগাঁও এলাকায় হ্যান্ডমাইকিং করে বাড়ি বাড়ি ভোট চান তিনি।

ওই ব্যক্তির নাম ছায়েদুছ ছিয়াম। তিনি টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি সিরাজদিখান উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। এর আগে শুক্রবার ছিয়াম নৌকার পক্ষে মিছিলে অংশ নেন। সেখানে নৌকার স্লোগানও দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছায়েদুছ ছিয়াম পাশের উপজেলা সিরাজদিখানে চাকরি করেন। অফিস বন্ধ থাকলে অথবা দায়িত্ব শেষে তিনি নৌকার প্রচারণা চালান। শনিবার স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বালিগাঁও এলাকার ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি নৌকার পক্ষে প্রচারণা করেন। মাইকিং করে নৌকার পক্ষে ভোট চান। শুক্রবার বালিগাঁও সড়কে শত শত নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে নৌকার মিছিল হয়। সে মিছিলেও ছিয়াম স্লোগান দেন।

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ২০০৮–এর ১৪–এর ২ ধারায় উল্লেখ করা আছে, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায়, সংশ্লিষ্ট জেলায় বা অন্য কোথাও কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে, অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্রের ব্যবহার, সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার বা সরকারি যানবাহন ব্যবহার করিতে পারিবেন না।’  

এ বিষয়ে ছায়েদুছ ছিয়াম বলেন, ‘শনিবার সকালে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁরা আমাকে জোরাজুরি করলে আমি প্রচারে গিয়েছিলাম। তবে বেশিক্ষণ থাকিনি।’ এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

জানতে চাইলে সিরাজদিখান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচার–প্রচারণায় আমরা কেউ অংশ নিতে পারি না। ছায়েদুছ ছিয়াম যদি করে থাকে, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’