মহেশখালী ও সাতকানিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যু

বিদ্যুৎপ্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের মহেশখালী ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মহেশখালীতে পল্লী বিদ্যুতের একজন লাইনম্যান ও সাতকানিয়ায় এক স্কুলছাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলী এলাকার একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করতে ওঠেন রূপণ দাশ (৪৫) নামের পল্লী বিদ্যুতের এক লাইনম্যান। এ সময় তিনি হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। গুরুতর আহত রূপণ দাশকে উদ্ধার করে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন পাশের বদরখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য রূপণ দাশের লাশ আজ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায় বলে জানান পল্লী বিদ্যুৎ চকরিয়া জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সাদিকুল ইসলাম। জানতে চাইলে সাদিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল রাতে লাইনে কাজ করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শক লেগে লাইনম্যান রূপণ দাশের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সঠিকভাবে নিরূপণের জন্য কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত স্কুলছাত্রের মোহাম্মদ জোবায়ের আহমেদ (১২) মারা গেছে। গতকাল সোমবার রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

মোহাম্মদ জোবায়ের আহমেদ উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাদারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মোজাফফর আহমদের ছেলে। সে কেরানীহাট আশ-শেফা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওসমান আলী প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্র জোবায়ের আহমেদ ৫ মে বিকেলে কেঁওচিয়ার মাদারবাড়ি নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে উঠে পাশের গাছ থেকে বাঁশ উঁচিয়ে আম পাড়ছিল। এ সময় আম পাড়ার কাজে ব্যবহৃত বাঁশটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে লেগে জোবায়ের আহমেদ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার শরীরের ৪৩ শতাংশ পুড়ে যায়।

ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান আলী আরও বলেন, গুরুতর আহত জোবায়েরকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আজ জোহরের নামাজের পর সাতকানিয়া মডেল মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।