হ্রদ আর ঝরনা দেখতে এক বছরে মিরসরাইয়ে ৩ লাখ পর্যটক

মহামায়া হ্রদে নৌকা করে ঘুরছে পর্যটকেরা। ১ মে দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায়
ছবি: প্রথম আলো

হ্রদ, ঝরনা, পাহাড় ও গিরিখাদ থাকায় চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। প্রতিবছরই বাড়ছে পর্যটকসংখ্যা। গত এক বছরে মিরসরাইয়ের হ্রদ, গিরিখাত ও ঝরনাগুলো দেখতে এসেছেন অন্তত ৩ লাখ পর্যটক।

স্থানীয় লোকজন বলেন, উপজেলার মহামায়া হ্রদ, খৈয়াছড়া ঝরনা, নাপিত্তাছড়া ঝরনা, সোনাইছড়া, বাওয়াছড়া, রূপসী ঝরনা, লবণাক্ষ, সহস্রধারা ঝরনা আর মেলকুম গিরিখাত পর্যটকদের কাছে এখন আকর্ষণীয়। এ পর্যটনস্থানগুলোর মধ্যে মেলকুম গিরিখাত ছাড়া অন্যগুলো বন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ইজারা দেওয়া হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, মহামায়া হ্রদ ৭১ লাখ টাকায় ও সব কটি ঝরনা ২৯ লাখ টাকায় ১ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। ঝরনাগুলোর ব্যবস্থাপনার রয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বারৈয়ারঢালা রেঞ্জ ও মহামায়া হ্রদের দায়িত্বে রয়েছে মিরসরাই রেঞ্জ। সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠা মেলকুম গিরিখাতটি এখনো কোনো সরকারি ব্যবস্থাপনায় আসেনি।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২২-২৩ ইজারা বছরে মহামায়া হ্রদ ঘুরতে আসেন ২ লাখ পর্যটক। আর ঝরনাগুলোতে ৯৬ হাজার ৮৩১ জন দর্শনার্থী আসেন। তাঁদের মধ্যে ৭৪ জন ছিলেন বিদেশি পর্যটক। পর্যটকদের নির্দিষ্ট হিসাব না থাকলেও স্থানীয় লোকজন বলেন, গত এক বছরে মেলকুম গিরিখাত দেখতে এসেছেন সাত থেকে আট হাজার পর্যটক।

নাপিত্তাছড়া ঝরনায় যাওয়ার পথের দুই পাশ সবুজে ঢাকা। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় সম্প্রতি
ছবি: প্রথম আলো

গতকাল সোমবার বিকেলে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফিরছিলেন ঢাকা থেকে আসা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, এখন পানি কম থাকায় ঝরনা দেখে মন জুড়ায় না। বর্ষায় ঝরনার আসল সৌন্দর্য বোঝা যায়। তবুও ঝরনার আশপাশের পাহাড়গুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তবে মিরসরাইয়ে ঘুরতে এলে আবাসনের সংকটে তাঁরা ঝামেলা পোহান। তাঁরা চান, পর্যটক উপযোগী ভালো মানের হোটেল-মোটেল গড়ে উঠুক এখানে।

মিরসরাইয়ে হ্রদ ও ঝরনা মিলে যতগুলো পর্যটনস্থান আছে এর মধ্যে মহামায়া হ্রদে পর্যটক আসে সবচেয়ে বেশি। হ্রদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের মিরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহেনশাহ নওশাদ বলেন, সম্প্রতি নতুন চারটি শৌচাগার, বসার কিছু বেঞ্চসহ অনেকগুলো অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য ইজারাদারসহ তাঁরা তৎপর থাকেন সব সময়।

আরও পড়ুন