চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম পরিপক্ব হলেই বাজারে আসবে, থাকছে না সময়সূচি

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফলবিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, আম ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

আম পরিপক্ব হলেই বাজারজাত করা যাবে। এবার কোনো জাতভিত্তিক আম পাড়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সময়সূচি থাকছে না। অর্থাৎ আম পাড়ার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন নির্ধারিত কোনো ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ অনুসরণ করতে হবে না আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের। আজ বুধবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফলবিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, আম ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খানের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভায় আমবিজ্ঞানী ও ব্যবসায়ীরা বলেন, আম কখন পাকবে, তা মূলত প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। তাপমাত্রাসহ আবহাওয়ার বিভিন্ন বিষয় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আবার এলাকাভেদে আম পরিপক্ব হওয়ার সময়েরও হেরফের আছে। তাই আম পাড়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া ঠিক হবে না। গত দুই বছরও আমের বাজারজাতে কোনো ক্যালেন্ডার নির্ধারণ করা হয়নি।

সভা শেষে জেলা প্রশাসক গালিভ খান বলেন, ফলবিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও আম ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আম পরিপক্ব হলেই তা গাছ থেকে সংগ্রহ করে বাজারজাত করবেন ব্যবসায়ীরা। পুরো আমের মৌসুমে বিষয়গুলো তদারক করার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি আম সেল গঠন করা হবে। একই সঙ্গে নিয়মিত বাজার মনিটরিং, পরিবহনসহ এই খাতে যেন কোনো ধরনের অসংগতি না থাকে, সে জন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম পরিবহনের জন্য ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন যেন মৌসুমের শুরুতেই পরিচালনা করা হয়, সেই লক্ষ্যে রেল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পাপিয়া সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মাসুদ আহমেদ, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইউসুফ আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম, ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলীসহ আমবাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।