খুলনা সিটিতে আবারও নৌকার প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক

তালুকদার আবদুল খালেক।
ফাইল ছবি

আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন তালুকদার আবদুল খালেক। আজ শনিবার দলীয় প্রার্থিতাসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক থেকে তাঁকে আবারও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে পরপর চারবার তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন পেলেন।

তালুকদার আবদুল খালেকের হয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। আজ বেলা দুইটার দিকে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খুলনার মেয়র প্রার্থী হিসেবে আবারও তালুকদার আবদুল খালেককে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে খুলনার উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা ছিল, তা অব্যাহত থাকবে। তালুকদার আবদুল খালেক আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের পোড় খাওয়া নেতা।

আরও পড়ুন

তালুকদার আবদুল খালেক খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র। এর আগে ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে প্রথম মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেবার তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। তবে ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনি জিততে পারেননি। ওই সময় বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবার হারানো পদ ফিরে পান তিনি। এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করবেন।

কেন্দ্রীয় ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন তালুকদার আবদুল খালেকসহ আরও তিনজন। দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য রুনু রেজা (রুনু ইকবাল বিথার)।

রুনু রেজা খুলনা মহানগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইকবাল বিথারের স্ত্রী ও বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বোন। ইকবাল বিথার ২০০৭ সালে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ১১ জুলাই রাতে তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন দুর্বৃত্তরা।

এর আগে ৮ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মহানগরের নেতারা মেয়র পদের জন্য তালুকদার আবদুল খালেককে দলীয় সমর্থন দেন। ওই সভাতেই সাইফুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনার কথা জানিয়েছিলেন।

৩ এপ্রিল খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ জুন ওই দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

৩ এপ্রিল খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ জুন ওই দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে ও ২৫ মের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ মে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছিলেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুজ্জাম্মেল হক ১৪ হাজার ৩৬৩, জাতীয় পার্টির এস এম মুসফিকুর রহমান ১ হাজার ৭২ ও সিপিবির মিজানুর রহমান পেয়েছিলেন ৫৩৪ ভোট।

আরও পড়ুন