‘তাহির জামান ছিলেন সাহস, স্বপ্ন ও পরিবর্তনের প্রতীক’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত সাংবাদিক তাহের জামানকে নিয়ে কথা বলছেন এক বক্তাছবি: প্রথম আলো

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত সাংবাদিক তাহের জামান প্রিয় হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে দোয়া ও স্মরণসভায় এ দাবি করা হয়। স্মরণসভাটির আয়োজন করে ‘প্রিয় মঞ্চ’।

গত বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় গুলিতে নিহত হন তাহের জামান। তিনি ফটোসাংবাদিক ছিলেন।

বক্তারা বলেন, তাহেরের মৃত্যুর ঘটনায় গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মামলাটি ধীরগতিতে চলছে। তাহির জামানসহ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেন তাঁরা।

বক্তারা আরও বলেন, এই স্মরণ অনুষ্ঠান শুধু তাহিরকে নিয়ে নয়, এটি একটি অবদমিত প্রজন্মের স্মরণ ও প্রতিরোধের বার্তা। তাহির জামান ছিলেন সাহস, স্বপ্ন ও পরিবর্তনের প্রতীক।

স্মরণসভার শুরুতে মাইলস্টোন কলেজে নিহত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর আলোচনা ও স্মৃতিচারণা করেন সাংস্কৃতিক সংগঠক ইমতিয়াজ আহমেদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রংপুর জেলার আহ্বায়ক চিনু কবির, গণসংহতি আন্দোলন রংপুর জেলার আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক জিয়েনা ফেরদৌস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক শাহারিয়ার সোহাগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক ও সাবেক সমন্বয়ক রীনা মুর্মু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের সাবেক মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার প্রমুখ।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রিয় মঞ্চের সংগঠক ওয়াসিফা জাফর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহ শাহ ও শাহারিয়া সিদ্দিকী।