শেরপুরে আগুনে পুড়ল একটি দোকান ও বাসা

আগুনে পুড়েছে দোকানের মালামাল। রোববার বগুড়ার শেরপুর উপজেলা শহরে হাসপাতাল সড়কেছবি: প্রথম আলো

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা শহরে হাসপাতাল সড়কে আগুনে পুড়েছে একটি দোকান ও বাসার মালপত্র। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ সময় ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য সামান্য দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত শহরের হাসপাতাল সড়কে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঢাকা লেনের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সোয়া ১১টার দিকে হাসপাতাল সড়কে লিমন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকানে আগুন লাগে। খবর পেয়ে শেরপুর, বগুড়া সদর, শাজাহানপুর, ধুনট ও সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দোকানটির পাশে ছিল নেসকো বিদ্যুৎ সরবরাহের ৩৩ কেভির বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসা পর্যন্ত পুরো শহরে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ ছিল।

দোকানটির মালিক ব্যবসায়ী রফিকুল আলম ওরফে জিন্নাহ। তাঁর দোকানে বিক্রি করা হতো গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার, ট্রাক ও বাসের চাকার টায়ার, পেট্রল, অকটেন, ডিজেল ও মোবিল। স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল প্রামাণিকের তিনতলা ভবনের নিচতলায় দোকানটি। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কার্যালয় এবং তিনতলায় ভবনের মালিক বসবাস করেন। তিন মাস আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওই দোকান মালিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক দোকানের মাল ও গুদাম অন্যস্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দোকান মালিক তা না করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস পরিদর্শক বখতিয়ার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য সামান্য দগ্ধ হয়েছেন। আগুনে দোকানভর্তি সব মাল পুড়ে গেছে। ভবনটির তিনতলায় বাড়ির মালিকের ঘরের মালামালও পুড়েছে।

আজ সকালে সরেজমিনে দোকান মালিক রফিকুল আলমকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজনের ভাষ্য, অগ্নিকাণ্ডে দোকানের কোটি টাকা বেশি মূল্যের মালামাল পুড়ে গেছে।

ভবনটির দ্বিতীয় তলার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকটির উপশাখার ইনচার্জ আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে ব্যাংকের ভেতরে কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে আগুনে পুড়ে ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ভবনমালিক দুলাল প্রামাণিক বলেন, তিনতলায় তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। আগুন দেখে দ্রুত তাঁরা সবাই বাইরে চলে আসেন। তবে বাসার সব মালামাল পুড়ে গেছে।