ময়মনসিংহে অবরোধে কর্মস্থলগামী মানুষের ভিড়, যাচ্ছেন ছোট যানে

আজ সকালে ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম বাস টার্মিনালের চিত্র
ছবি: কামরান পারভেজ

বিএনপির ডাকা টানা দুই দিনের অবরোধের প্রথম দিন আজ রোববার সকাল থেকেই ময়মনসিংহ নগর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় কর্মস্থলগামী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বিভিন্ন ছোট যানবাহনে গন্তব্যে ছোটেন লোকজন। তবে যাত্রীসংকটে আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস তেমন চলাচল করতে দেখা যায়নি। আজ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

কর্মস্থলগামী বিভিন্ন উপজেলায় মানুষ ছুটছেন। বেশির ভাগই যাচ্ছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মাহেন্দ্র দিয়ে। পাটগুদাম টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহের সাতটি উপজেলা, নেত্রকোনা, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার বাস চলাচল করে। তবে বাসের যাত্রী ছিল খুবই কম।

সকাল ৮টায় নেত্রকোনাগামী বাসের কাউন্টারে গিয়ে জানা যায়, একটি বাসও ছেড়ে যায়নি। তবে ওই সময় একটি বাসে যাত্রী ওঠানো হচ্ছিল। ডাকা হচ্ছে নেত্রকোনাগামী যাত্রীদের। কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি জানান, স্বাভাবিক সময়ে ভোর সাড়ে ৫টা থেকেই নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে বাস ছাড়তে শুরু করে।

কিশোরগঞ্জগামী এম কে সুপার পরিবহনের কাউন্টার বদ্ধ দেখা যায়। কাউন্টারের পাশে বসে ছিলেন টিকিট বিক্রেতা মো. ছোহবান। তিনি বলেন, অবরোধ বা হরতালে সাধারণত বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। যে কারণে মানুষ বাসে চড়তে ভয় পান। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ এলাকায় সম্প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণেও মানুষ বাসে চড়তে চাইছেন না। তবে সকাল থেকেই অটোরিকশায় করে অনেক বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী যাচ্ছেন।

মাসকান্দা টার্মিনালে দেখা যায়, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী গাড়ির যাত্রী কম। এনা পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ থাকলেও খোলা জায়গায় টেবিলে বসে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাউন্টার একজন দাবি করেন, সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত আটটি বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

ঢাকাগামী যাত্রী মো. মানিক বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা যেতে হবে। ৫০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করলেও বাসের যাত্রী  না হওয়ায় ছাড়ছে না।

এদিকে আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত ময়মনসিংহে অবরোধ সমর্থনে কোনো মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ময়মনসিংহ নগরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। অনেক পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছেন।