মানিকগঞ্জে সোনা চোরাচালানের মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জে সোনা চোরাচালানের মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায় আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলার সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র দায়রা ও জেলা জজ জয়শ্রী সমদ্দার এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার লোহাকুড়া গ্রামের ইয়াহিয়া আমিন, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সংকরপুর গ্রামের শেখ আমিনুর রহমান ও একই গ্রামের শেখ জাহিদুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নাগেরহাট গ্রামে মো. মনিরুজ্জামান এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার জগৎপুর গ্রামের মো. জহিরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা বাসে করে চোরাচালানের উদ্দেশে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে নেওয়া হবে বলে খবর পায় র‍্যাব-২। বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার তরা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তল্লাশিচৌকি বসায় র‍্যাব-২–এর একটি দল। কিছুক্ষণ পর বেনাপোলগামী একটি বাসে তল্লাশির সময় পাঁচ যাত্রী পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁদের আটক করেন র‍্যাবের সদস্যরা। পরে তাঁদের দেহ তল্লাশি করে মোট ২২৭টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এসব সোনার বারের ওজন ৪৩ দশমিক শূন্য ৭ কেজি।

পরদিন সোনা চোরাচালানের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। মামলার বিচারাধীন অবস্থায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত এই রায় দেন।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মথুর নাথ সরকার। তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা ও মো. লুৎফর রহমান। নজরুল ইসলাম বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।