শাকসু নির্বাচন : ক্যাম্পাসে রাজনীতি চালুর পর ‘যৌক্তিক সময়’ চায় ছাত্রদল, পরে নির্বাচন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (শাকসু) ভেঙে ফেলা ভবনছবি : সংগৃহীত

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচন আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে আয়োজনের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়েছে।

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালুর খবরে শাকসু নির্বাচন নিয়ে অবস্থান জানিয়েছে ছাত্রদল। সংগঠনটির নেতা–কর্মীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১০ মাস ধরে দলীয় ব্যানারে কার্যক্রম চালাতে পারেনি তারা। তাই নির্বাচনের আগে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুযোগ প্রয়োজন। এ জন্য প্রশাসনের কাছে ‘যৌক্তিক সময়’ দাবি করেছে ছাত্রদল।

আরও পড়ুন

গত বছরের ৬ নভেম্বর থেকে দলীয় ব্যানারে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই ছাত্রসংগঠনগুলো দলীয় ব্যানারে রাজনীতি চালুর দাবি জানিয়ে আসছে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সীমিত আকারে দলীয় রাজনীতি চালুর সুপারিশ করে। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে শাকসু নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ীই তারা নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। তবে সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুন

নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে নিয়মিতই প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ছাত্রদল। তারা বলছে, নির্বাচনের আগে অন্তত কিছুদিন কার্যক্রম চালানোর সুযোগ প্রয়োজন। ইতিমধ্যে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদলের ব্যানারে আমরা তেমন কোনো শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচি পালন করতে পারিনি। এ জন্য আমরা উপাচার্যের কাছে দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি ছাত্রসংগঠনগুলো নিয়ে এক বৈঠকেও তা জানিয়েছি।’ সব সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের দাবি জানান তিনি।

সংগঠনের সভাপতি রাহাত জামান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের পর আমরা তেমন কার্যক্রম করতে পারিনি। শাকসুর নেতৃত্ব নির্বাচনের আগে অন্তত কিছু সময় প্রয়োজন। তবে নির্বাচন পিছিয়ে যাক, সেটা চাই না। কর্মসূচির জন্য যৌক্তিক সময় চাইছি।’