বিএনপির সমাবেশস্থলে আগে থেকে অবস্থান শ্রমিক লীগের, হামলায় আহত ৫

হামলায় আহত বিএনপির এক কর্মীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত সমাবেশস্থলে শ্রমিক লীগের নেতা–কর্মীরা আগে থেকে অবস্থান নেন। এতে ওই স্থানে সমাবেশ করতে পারেননি বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এ ছাড়া সমাবেশে আসার পথে হামলার ঘটনায় বিএনপির পাঁচজন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার মেহেন্দীগঞ্জ শহরের রাজলক্ষ্মী সিনেমা হলের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল পৌর বিএনপি।

বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, পৌর বিএনপির ডাকা এ সমাবেশের খবর পাওয়ার পর গতকাল বুধবার রাতে শহরে দফায় দফায় মহড়া দেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা বিএনপির নেতা–কর্মীদের দেখামাত্র ধাওয়া দেন ও বিএনপি সমর্থিত লোকজনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বন্ধ শাটারে লাঠির আঘাত করে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেন।

পৌর বিএনপির সভাপতি জিয়া উদ্দিন ওরফে সুজন অভিযোগ করে প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মনির জমাদ্দার ও বাবুল হাওলাদারের নেতৃত্বে আজ সকালে বিএনপির সমাবেশস্থল এলাকায় অবস্থান নেন সংঠনের নেতা–কর্মীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সমাবেশমুখী বিএনপি নেতা–কর্মীদের ওপর পথে পথে হামলা চালানো হয়। এতে পাঁচজন আহত হন। পরে বিএনপি পার্শ্ববর্তী এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর মনির জমাদ্দার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সমাবেশে বাধা দিইনি। কারা দিয়েছে, তা–ও জানি না।’

শ্রমিক লীগে আরেক নেতা বাবুল হাওলাদার বলেন, ‘সমাবেশে দলীয় কর্মীদের আনতে ব্যর্থ হয়েছে পৌর বিএনপি। আমরা সকালে রাজলক্ষ্মী সিনেমা হলের সামনে গিয়েছিলাম। তবে কোনো মহড়া বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’

বেলা একটার দিকে মেহেন্দীগঞ্জ পৌর বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার নিন্দা জানায়। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিহাব আহাম্মেদ ওরফে সেলিমের বাসভবন চত্বরে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সভাপতি জিয়া উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার পরও আমাদের সমাবেশের জন্য নির্ধারিত স্থানটি সকাল ১০টার আগেই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন শ্রমিক লীগের নেতা–কর্মীরা। সমাবেশে আসার পথে মফিজ সরদার, ফরিদ জমাদ্দার, জামাল হোসেন, আবুল কাশেম, মজিবুর রহমান, কামাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মীকে মারধর করে আহত করেছেন হামলাকারীরা। সভা–সমাবেশ আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এটাকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা দেশ ও জাতির শত্রু।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আবদুল খালেক হাওলাদার, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আফছার হোসেন ওরফে আলম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিহাব আহাম্মেদ, পৌর বিএনপির সহসভাপতি কাজী মোতালেব প্রমুখ।