বর্তমান ও সাবেক তিন সংসদ সদস্যের লড়াই

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনার পাঁচটি সংসদীয় আসনে ২৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে নেত্রকোনা-৩ আসনে ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক দুই সংসদ সদস্যের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন নির্বাচনী এলাকার লোকজন।

তাঁরা হলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এবং সাবেক দুই সংসদ সদস্য ট্রাক প্রতীকের ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মঞ্জুর কাদের কোরাইশী। ইফতিকার উদ্দিন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা পেয়ে বিজয়ী হন। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মঞ্জুর কাদের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে বিজয়ী হন। এবার দুজনই মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলা নিয়ে নেত্রকোনা-৩ আসন গঠিত। ২টি উপজেলায় ভোটারসংখ্যা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩২০। এর মধ্যে কেন্দুয়ায় ভোটারসংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪। নির্বাচনে অভিজ্ঞ এই তিন প্রার্থীরই নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। মঞ্জুর কাদেরের গ্রামের বাড়ি আটপাড়ায়। অন্য দুজনের কেন্দুয়ায়। তবে নির্বাচনী এলাকার জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কারণে নৌকার প্রার্থী অসীম কুমার উকিল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইফতিকার উদ্দিন একটি বিশেষ অবস্থানে রয়েছেন। মঞ্জুর এই দুজনের থেকে পিছিয়ে রয়েছেন বলে ভোটারদের ধারণা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আটপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেত্রকোনা-৩ আসনেই মূলত নির্বাচনী আমেজ আছে। এখানে এলে বোঝা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে। আসনটিতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস থাকলেও মূলত লড়াইটা হবে অসীম কুমার ও ইফতিকার উদ্দিনের মধ্যে। আওয়ামী লীগের উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কিছু নেতা-কর্মী প্রকাশ্যে ও গোপনে ইফতিকারকে বিজয়ী করার জন্য সক্রিয়ভাবে সমর্থন দিচ্ছেন বলে জানান ওই নেতা।

ওই নেতা আরও জানান, কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক ও মোজাফরপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী, কেন্দুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক চেয়াম্যান আবু তাহের, সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, দলপা ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া, নওয়াপাড়ার চেয়ারম্যান সারওয়ার জাহান, চিরাং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সালমা আক্তারের মতো কয়েকজন সমর্থন দিচ্ছেন ইফতিকারকে।