সাততলা থেকে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে আটকা, শিশুকে উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের খয়াসার এলাকার মঙ্গলবার বিকেলে সাততলা থেকে পাইপ দিয়ে নামতে গিয়ে আটকা পড়ে এক মাদ্রাসাছাত্র। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে
ছবি: সংগৃহীত

সাততলাবিশিষ্ট বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পাইপ দিয়ে নামতে চেষ্টা করছিল ১০ বছরের এক শিশু। তবে ছয়তলায় আটকা পড়ে সে। বিষয়টি দেখে স্থানীয় একজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের কাছে সাহায্য চান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে ভবনের ছয়তলা থেকে এই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের খয়াসার এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিশুর নাম জহিরুল ইসলাম (১০)। সাততলা ওই ভবনে সালমা সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসা অবস্থিত। জহিরুল সেখানকার নাজেরা বিভাগের ছাত্র। জহিরুল সরাইল উপজেলা সদরের আবদুল করিমের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, সিঁড়ি দিয়ে না নেমে জহিরুল পাইপ বেয়ে নামার চেষ্টা করে। এটা দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, ওই ছাত্র পালাতে চেষ্টা করছিল। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি মাদ্রাসার আরেক ছাত্র পাইপ বেয়ে নিচে নামতে গিয়ে আটকে যায়। তাকেও প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টাতে নিচে নামানো হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে জহিরুল মাদ্রাসা ভবনের সাততলার ছাদে ওঠে। সে একপর্যায়ে পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। পাইপ বেয়ে ছয়তলা পর্যন্ত পৌঁছে আটকে যায় ওই ছাত্র। তখন এলাকার একজন ভবনের ছয়তলার সানশেডে ওই মাদ্রাসাছাত্রকে ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে ওই লোক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ফোন দেন।

রশি দিয়ে বেঁধে ওই ছাত্রকে নিচে নামানো হচ্ছে
ছবি: সংগৃহীত

বেলা তিনটা পাঁচ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা জহিরুলকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু করেন। ফায়ার ফাইটার আলমগীর হোসেন প্রায় ৭০ ফুট ওপরে উঠে সানশেডে ঝুলে থাকা অবস্থায় জহিরুলকে উদ্ধার করে নিচে নামান। এ সময় সদর থানা-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তখনো জহিরুলের পরিবারের সদস্যরা এসে পৌঁছাননি।

ফায়ার ফাইটার আলমগীর হোসেন বলেন, তিনি ওপরে উঠে দেখেন, ছয়তলার পাইপে এক পা ও সানশেডে এক পা রেখে ওই ছাত্র ঝুলছে। ২০ মিনিটের মধ্যেই ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়।

সালমা সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষকদের মুঠোফোন বন্ধ। ফলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশনমাস্টার মো. নাজমুল আলম বলেন, ‘স্থানীয় একজন বিষয়টি ফোন করে আমাদের জানান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা ওই ছাত্রকে দ্রুতই উদ্ধার করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি। এর আগেও গত ১৯ জানুয়ারি একই ভবনে ছয়তলার পাইপ থেকে সবুজ নামের আরেক মাদ্রাসাছাত্রকে উদ্ধার করা হয়।’