কেশবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আবারও হনুমানের মৃত্যু
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবারও একটি হনুমান মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার শহরের হাসপাতাল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে চলতি বছর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চারটি হনুমানের মৃত্যু হলো।
কেশবপুর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় চার শ হনুমান আছে। অবাধ বিচরণক্ষেত্র ও অভয়ারণ্য না থাকায় প্রজননের সহায়ক পরিবেশ না পেয়ে এসব হনুমানের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে না। হনুমানগুলো এক গাছ থেকে অন্য গাছে চরে বেড়ানোর সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যায়। আজ সকালে কেশবপুর শহরের হাসপাতাল মোড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি হনুমানের মৃত্যু হয়।
বিভিন্ন স্থানে হনুমানের খাদ্য দেন আতিয়ার রহমান। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি খাদ্য দেওয়ার সময় জানতে পারেন, হাসপাতালের পাশে একটি হনুমান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। পরে হনুমানটিকে উদ্ধার করে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে গেলে সেটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে মধ্যকুল পৌরসভার ময়লাখানায় হনুমানটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
কেশবপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা সমিরন বিশ্বাস বলেন, দুই মাস আগে পাচারের সময় দুটি হনুমান উদ্ধার করে কেশবপুর বন বিভাগের কার্যালয়ে পাঠায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তারা কয়েক দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর অন্য হনুমানের মধ্যে ছেড়ে দেয়। এর মধ্যে একটি হনুমান আজ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।
কেশবপুর নাগরিক সমাজের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার বেগমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন মণ্ডল বলেন, উপজেলা সদরের বিদ্যুতের তারগুলোয় কাভার লাগানোর দাবি তাঁদের দীর্ঘদিনের। তারগুলো খোলা থাকায় হনুমান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাচ্ছে। বিরল প্রজাতির হনুমান রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।